খুলনার তিনটি হাসপাতালে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৩ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

মারা যাওয়া ১৩ জনের মধ্যে খুলনা করোনা হাসপাতালে ছয়জন, গাজী মেডিকেল হাসপাতালে ছয়জন ও জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একজনের মৃত্যু হয়েছে।  

খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

এরা হলেন- খুলনা মহানগরীর শামসুর আলম (৫৮), লবনচরা এলাকার আনোয়ারা (৫৮), দিঘলিয়ার মো. সোহরাব শেখ (৬৮), রামপালের আফজাল শেখ (৬১), নির্মল কান্তি সাহা (৭৯) এবং যশোরের বাঘারপাড়ার ভানু বেগম (৬০)।

এ ছাড়া ১৩০ শয্যার করোনা হাসপাতালে সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৫৬ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। যার মধ্যে রেডজোনে ৯৮ জন, ইয়ালোজোনে ২২ জন, এইচডিইউতে ১৬ জন এবং আইসিইউতে ২০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ২৩ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৮ জন।

খুলনা ২৫০ জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হোসনে আরা বেগম (৬০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। এ ছাড়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪৯ জন। এর মধ্যে ২৪ জন পুরুষ এবং ২৫ জন নারী রয়েছেন।

গাজী মেডিকেলের স্বত্বাধিকারী গাজী মিজানুর রহমান জানান, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

এরা হলেন- নগরীর সোনাডাঙ্গার মনিরুল ইসলাম (৬২), খালিশপুরের জালাল আহমেদ খান (৬৫), নগরীর মৌলভীপাড়া এলাকার মো. মাসুদুল হক (৮৫), খানজাহান আলী থানা এলাকার মিয়া মাহবুবুর রহমান (৯৫), যশোরের মনিরামপুর উপজেলার জাকির হোসেন (২৯) এবং বাগেরহাটের হাকিমপুরের জয়স্তানা রানী দাস (৫৬)।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে হাসপাতালে ৮১ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে আইসিইউতে ছয়জন এবং এইচডিইউতে তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ২২ জন ভর্তি হয়েছেন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ জন। এ ছাড়া হাসপাতালের আরটিপিসিআর মেশিনে ৩১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৪ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে।

খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, মঙ্গলবার (২২ জুন) রাতে খুমেকের পিসিআর মেশিনে ৫৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২২৪ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে খুলনার ৪৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৮৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া বাগেরহাটে ২৭ জন, যশোরে সাতজন, সাতক্ষীরায় একজন, পিরোজপুরে তিনজন, গোপালগঞ্জে একজন ও চুয়াডাঙ্গায় একজন রয়েছেন। খুমেক পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক ৭১ শতাংশ।

খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. শেখ সাদিয়া মনোয়ারা ঊষা জানান, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় খুলনা জেলার আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া খুলনা জেলা ও মহানগরীতে ৭৭১টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ৩০৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। যা মোট নমুনা পরীক্ষার ৩৯ শতাংশ। 

মোহাম্মদ মিলন/এসপি