রংপুরের ছয়টি সংসদীয় আসনে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। প্রায় চার মাস আগে গত ৫ জুলাই নিজেদের সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। আর ৩ নভেম্বর বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পর আসনগুলোতে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী আমেজ। তারুণ্যনির্ভার এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা আছেন ফুরফুরে মেজাজে। তবে জাতীয় পার্টি মাঠে না থাকলেও ভোটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন দলটির সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে রংপুর-৪ আসনে আলোচনায় তিন প্রার্থী। এ আসনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির প্রার্থীকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা। তবে বড় দুই দলের প্রার্থীরা প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও নির্বাচনী শোডাউন, মিছিল-মিটিং, উঠান বৈঠকসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রার্থী ঘোষণা না করলেও এ আসনে লড়বেন দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন। আর জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে পীরগাছার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু নাসের শাহ মাহবুবার রহমান পোস্টারে জানান দিচ্ছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতার।

রংপুর-৪ আসনটি সংসদের ২২নং আসন। কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলা নিয়ে গঠিত রংপুর-৪ আসন। স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনে আওয়ামী লীগ ৬ বার, জাতীয় পার্টি ৪ বার এবং বিএনপি ১ বার জয় পেয়েছিল।

১৯৭৯ সালে এই আসনে শিল্পপতি রহিম উদ্দিন ভরসা রংপুর-৪ আসনে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন। তিনি মুসলিম লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৮ সালে বিএনপিতে যোগ দিয়ে এই আসন থেকে নির্বাচন করেন। এরপর বাকি নির্বাচনগুলোতে জেলার অন্যান্য আসনগুলোর মতো এখানেও কেউ কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি। তবে এবার তার ছেলে এমদাদুল হক ভরসাকে ঘিরে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বিএনপি।

হারানো আসন পুনরুদ্ধারে ভরসাই বিএনপির ভরসা

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ সমাজের জন্য নিবেদিত ছিলেন রহিম উদ্দিন ভরসা ও তার ছোট ভাই করিম উদ্দিন ভরসা। দুজনই সংসদ সদস্য হয়ে কথা বলেছেন এলাকার মানুষের জন্য। তাদেরকে বলা হতো ‘গরিবের ভরসা’। সেই ভরসা পরিবার থেকে হারানো আসন পুনরুদ্ধারে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন রহিম উদ্দিন ভরসার ছেলে শিল্পপতি এমদাদুল হক ভরসা। কাউনিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্বে থাকা ভরসাকে ঘিরে এবার হারানো আসনটি উদ্ধারে সুবর্ণ সুযোগ দেখছেন দলের নেতাকর্মীরা।

বাবার হাত ধরে বিএনপিতে এসেছেন এমদাদুল হক ভরসা। ছাত্রজীবনে তিনি ছিলেন কাউনিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও তিনি ছিলেন। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত কাউনিয়ায় বিএনপিকে সংগঠিত করতে নেতৃত্ব দেন। বতর্মানে তিনি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও কাউনিয়া উপজেলার আহ্বায়কের পদে রয়েছেন।

তিনি দীর্ঘ সময় কাউনিয়া উপজেলা ও জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তিনি শুধু একাধিক মামলা নয়, হামলারও শিকার হন। যেতে হয় অন্ধকার কারাগারেও। চব্বিশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠা গণঅভ্যুত্থানে তিনি সক্রিয় ছিলেন। যার কারণে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তার নামে কাউনিয়া, পীরগাছা ও রংপুরে পাঁচটি মামলা করে। রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিক্ষার প্রসার এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও ক্রীড়াঙ্গনে তার রয়েছে অসামান্য অবদান। তিনি ২০১৪ সালে শ্রেষ্ঠ করদাতা হিসেবে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা অর্জন করেন।

কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ সারাই ডারারপাড় এলাকার বাসিন্দা এমদাদুল হক ভরসা। তিনি ২০১৮ সালের বিতর্কিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৪ আসন থেকে প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। রাতের ভোটখ্যাত সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী টিপু মুনশির (সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী) কাছে পরাজিত হলেও তিনি পেয়েছিলেন লক্ষাধিকের বেশি ভোট। এবার জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়ায় বাবার আসন পুনরুদ্ধারের সঙ্গে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত বলে মনে করছেন তিনি।  

এমদাদুল হক ভরসা ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-মাদরাসা-এতিমখানাসহ ধর্মীয় উপাসনালয়ে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছি। প্রতি বছর  শীতার্তদের ২৫ হাজার কম্বল, ঈদে ৩০-৪০ হাজার শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ করছি। ঝরেপড়া রোধে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ ছাড়াও শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করছি। এসব কাজ ভোটের আশায় নয়, এটা আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্য। আমরা মানুষের জন্য ছিলাম, আছি এবং আগামীতেও থাকবো।

তিনি আরও বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে জনসেবার সুযোগ বাড়বে। আমার অবহেলিত এলাকার উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারব। আমার বাবা-চাচা যখন এমপি ছিলেন, তারা যা করে গেছেন তা মানুষ ভুলে যাইনি। আমিও এলাকার মানুষের জন্য তেমন কিছু করতে চাই যা মানুষ এখন দেখতে চায়। নির্বাচিত হলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে জোরালো ভূমিকা রাখাসহ এ অঞ্চলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কলকারখানা স্থাপন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মানুষের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করব ইনশাআল্লাহ। বাবার মতো জনগণের আস্থা অর্জন করে পিছিয়ে পড়া রংপুরকে এগিয়ে নিতে চাই।

বিএনপির ভুলে লাভ জামায়াতের, বাগড়া দিতে প্রস্তুত আজম খান

সম্প্রতি একটি সভায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হেফাজতের (সুরক্ষার) প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এমদাদুল হক ভরসা। এর আগে এনসিপির আখতার হোসেনকে তিনি চেনেন না বলায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ভোটযুদ্ধে শক্ত অবস্থানে থাকা এই প্রার্থীর এমন ভুলভাল বক্তব্যে লাভ খুঁজছেন অন্যরা। বিশেষ করে  এখানে বিএনপিকে থামাতে বাগড়া দিতে পারে জামায়াত-এনসিপি।

জুলাই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির অবর্তমানে বিজয়ের ফসল ঘরে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির প্রার্থী মাওলানা এটিএম আজম খান রাজনীতির মাঠে পরীক্ষিত নেতা। বর্তমানে তিনি জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য এবং রংপুর মহানগরের আমির হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। স্থানীয় মেরুরা ইসলামিয়া দ্বিমুখী ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার উপাধ্যক্ষ তিনি।

নির্বাচিত হলে কোন কাজগুলোকে বেশি গুরুত্ব দেবেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে এটিএম আজম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, নির্বাচিত হলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন এবং চরাঞ্চলসহ সকল বেকার যুবক ও কর্মক্ষম মানুষের স্থায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করব ইনশাআল্লাহ। আমার লক্ষ্য এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ ও নদী ভাঙন রোধ নিশ্চিত করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দূর করা। অবহেলিত জনগণের অধিকার, বেকারত্ব দূরীকরণে বাস্তবমুখী শিক্ষা ও কর্মের ব্যবস্থা এবং শিক্ষার প্রসার ঘটানোসহ বাস্তবমুখী শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করা। উন্নয়ন বৈষম্য দূর করতে যোগাযোগ ব্যবস্থায় সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে অনুন্নত এলাকাগুলোতে রাস্তাঘাট, কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।

 

তিনি আরও বলেন, মানুষ পরিবর্তন চায়, কথা-কাজে মিল দেখতে চায়। এ কারণে জামায়াতের প্রতি সব শ্রেণি পেশার মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। বিবেকবান, দেশপ্রেমিক, খেটে খাওয়া মানুষসহ সব শ্রেণির মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া মিলছে। তারা চায় জামায়াত একবার হলেও রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসুক। আশা করছি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে জামায়াতকে সমর্থন দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করবে।

এনসিপির আখতারে ঝুঁকছে তরুণ নেতৃত্ব 

রংপুর-৪ আসনে এবার ভোটার বেড়েছে ৪৭ হাজার, যার অধিকাংশই তরুণ। এদের একটা বড় অংশ তরুণ নেতৃত্বের দিকে হয়তো ঝুঁকতে পারে। এদিক থেকে জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলনকেও একেবারে বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। তাদেরও ভোটার-সমর্থক রয়েছেন।

কাঙ্ক্ষিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জাতীয় নাগরিক পার্টি কেবল তরুণ সমাজের নয়, সব শ্রেণির মানুষের সমর্থন নিয়ে এগিয়ে যাবে- এমন সম্ভাবনা দেখছেন অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করা এনসিপির নেতাকর্মীরা। প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়েও সাধারণ মানুষের অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছেন দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসন। এরই মধ্যে তাকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে এনসিপি।

কাউনিয়া উপজেলার মধুপুর এলাকার বাসিন্দা আখতার হোসেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। সেখান থেকেই তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। ২০১৮ সালে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রতিবাদে আখতার হোসেন একা অনশন ধর্মঘট করেন, যা তাকে জাতীয়ভাবে পরিচিত করে তোলে।

এর আগে আখতার হোসেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি এবং সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। পুলিশি নির্যাতন-নিপীড়নেও না হারা ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ আখতার হোসেন। জুলাই আন্দোলনে অসামান্য অবদান রয়েছে তার। এবারেই প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়ছেন তরুণ এই রাজনীতিবিদ।

এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের গভীরতর যে সমস্যাগুলো রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে তারা পিছিয়ে রয়েছে। এ মানুষদের আমরা সামনের দিকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, কীভাবে এ প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষেরা সাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে আমরা সেই স্বপ্নের কথাই মানুষের কাছে তুলে ধরছি। একইভাবে উত্তরাঞ্চলের মানুষ নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হয়ে এসেছে। সে বৈষম্য দূর করে কীভাবে আমাদের ন্যায্য হক আদায় করতে পারি সে বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কথা বলছি। সার্বিকভাবে আমরা সব শ্রেণি পেশার মানুষের সমর্থন পাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, তরুণদের কাছ থেকে অভূত সাড়া পাচ্ছি। তবে শুধু তরুণ নয়, সমাজের সচেতন নাগরিকরা আমাদর সঙ্গে আছেন। তারা আমাকে, আমাদেরকে উৎসাহিত করছেন। এখন সবার চাওয়া পুরোনো সিস্টেম বদলাতে রাজনীতি ও ক্ষমতায় সত্যিকারের পরিবর্তন আসুক।

আখতার হোসেন বলেন, এনসিপি নির্বাচিত হলে জনগণের কল্যাণে নতুন আইন প্রণয়ন করবে। যাতে কেউ সরকারি বরাদ্দ তছরুপ করতে না পারে, সেই লক্ষ্যে ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদে মসজিদ-মন্দিরে বরাদ্দের পরিমাণ সাইনবোর্ডে প্রকাশ করা হবে। গ্রামাঞ্চলে জনসেবা কেন্দ্র স্থাপন করে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হবে। জনগণের করের টাকায় ভাতা মর্যাদার সঙ্গে মানুষের কাছে পৌঁছানোর নিশ্চয়তা দিচ্ছি।

সরব ইসলামী আন্দোলনের জাহিদ, নীরব প্রচারণায় জাপা

অন্যদিকে এই আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা মো. জাহিদ হোসেন। তিনি কাউনিয়ার হারাগাছ বাংলাবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং স্থানীয় একটি মসজিদের খতিব।

ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের এই প্রার্থী ঢাকা পোস্টকে বলেন, নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। তারা এখন পরিবর্তন চায়। তারা চায় দেশের সব ইসলামি দল এক হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করুক। একজন প্রার্থী হিসেবে ভোটারসহ সাধারণ মানুষের ভালোই সাড়া পাচ্ছি। মহান সৃষ্টিকর্তা যদি জনগণের খেদমতে সম্মান দেন তাহলে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সকল নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করাসহ এলাকার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে কাজ করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

এদিকে আসন্ন নির্বাচনে এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন পীরগাছা উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ আবু নাসের মো. মাহাবুব। এরই মধ্যে তার পোস্টারে ছেয়ে গেছে নির্বাচনী এলাকা। তবে বাম দলসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতা এখনো শুরু হয়নি।

রংপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে মোট ভোটার ছিলেন ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৩৮৩। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে ভোটার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২৬ হাজার ২৪০। সেই হিসাবে ভোটার বেড়েছে ৪৭ হাজার ৮৫৭।

আরএআর