ঠাকুরগাঁওয়ে নসিমন ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ৯ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ট্রাক টার্মিনাল চব্বিশ টিউবওয়েল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মাহমুদা মাসুম (৪৫), তার ছোট বোন মানসুরা মুন্নি (৪২), ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম জাকারিয়া (৩৮), গাড়ি চালক হারুনুর রশিদ (৩০), সদরের ছোট খোচাবাড়ি এলাকার নুরে আলমের ছেলে সাজু ইসলাম (২৫), একই এলাকার মোহাম্মদ মিন্টুর ছেলে সুমন হোসেন (২৮), শামসুল হকের ছেলে ওমর ফারুক (২৮), তার শিশু সন্তান তানভীর (৬) এবং নসিমন চালক রুবেল রানা। চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় রংপুর থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি মাইক্রোবাস ঠাকুরগাঁও আসছিল। একই সময়ে ঠাকুরগাঁও থেকে একটি নসিমন খোচাবাড়ির দিকে যাচ্ছিল। ট্রাক টার্মিনাল চব্বিশ টিউবওয়েলের সামনে গাড়ি দুটি মুখোমুখি সংঘর্ষের শিকার হয়। মাইক্রোবাস ও নসিমন রাস্তার পাশে থাকা একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে গাড়ির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং যাত্রীরা আহত হন।

আহতদের মধ্যে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব রয়েছেন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার রকিবুল আলম চয়ন বলেন, চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা চলমান রয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনা খবর পেয়ে আহতদের দেখতে হাসপাতালে আসেন ঠাকুরগাঁও পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাসপাতালে এসে দেখি কয়েকজন আহত মানুষ পড়ে আছে কিন্তু ডাক্তার নেই। এমনটা কেন হবে? দুর্ঘটনার পর জরুরি চিকিৎসা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আর ঠিক সেই জায়গায় গাফিলতি দেখা গেল। এটি শুধু অব্যবস্থাপনা নয়, মানুষের জীবনের প্রতি উদাসীনতা।

ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে গাড়ি দুটি অতিরিক্ত গতিতে ছিল এবং চালক নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। পুরো ঘটনার কারণ জানতে আমরা তদন্ত করছি।

রেদওয়ান মিলন/এআরবি