বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বহিষ্কৃত উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র জানে আলম খোকা আবারও তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন। এ বিষয়ে তিনি বিএনপির হাই কমান্ডকে আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চূড়ান্ত আল্টিমেটাম দিয়েছেন।

রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় শেরপুর-ধুনটের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ সতর্কবার্তা দেন। সভায় জানে আলম খোকা দাবি করেন, গত ১৬ বছরে দেশের বহু স্থানে বিএনপির অফিস বন্ধ থাকলেও শেরপুরে কখনও তালা ঝোলেনি। দলের আন্দোলন, সংগ্রাম ও কর্মসূচিগুলো তার নেতৃত্বেই এলাকায় বাস্তবায়িত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি জনসভায় প্রকাশ্যে দলের কাছে ক্ষমা চেয়েছি এবং বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেছি। দেশের বহু নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হলেও আমার ক্ষেত্রে বৈষম্য কেন। যারা অতীতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করেছিল, তারাই এখন দলের নেতৃত্বে আছে। এ বৈষম্য চলতে থাকলে শেরপুর-ধুনটের বিএনপির একাংশ যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই বাস্তবায়ন করা হবে।

জানে আলম খোকা বলেন, সবসময় মাঠে থেকে দলকে সংগঠিত করেছি। শেরপুরে বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামো অটুট ছিল, তাই তার ওপর আরোপিত শাস্তি অবিচার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুর রহমান মিলন, কুসুম্বী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম পান্না, প্রবীণ নেতা মতিয়ার রহমান মতিনসহ আরও অনেকে।

এ ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। আগামী ৪ ডিসেম্বরের পর জানে আলম খোকার অবস্থান কী হবে এবং শেরপুর বিএনপির একাংশ কোন সিদ্ধান্ত নেবে তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক কৌতূহল তৈরি হয়েছে।

এমএএস