১৬ মাস পর জুলাই আন্দোলনে নিহত ফয়েজের দেহাবশেষ উত্তোলন
জুলাই আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত মো. ফয়েজের দেহাবশেষ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। দাফনের এক বছর ৪ মাস দুই দিন (১৬ মাস) পর মামলার তদন্তের প্রেক্ষিতে তার দেহাবশেষ উত্তোলন করা হয়।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর চর আবাবিল ইউনিয়নের ঝাউডগী গ্রামে বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে ফয়েজের দেহাবশেষ উত্তোলন করে প্রশাসন। এ সময় রায়পুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিগার সুলতানা এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী আবুল বাশার উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
এসআই কাজী আবুল বাশার বলেন, ফয়েজের বাবা আলাউদ্দিন বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে আদালত পুনরায় মরদেহ ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। সেই প্রেক্ষিতেই দেহাবশেষ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে দেহাবশেষ পুনরায় দাফন করা হবে।
রায়পুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিগার সুলতানা বলেন, দেহাবশেষ উত্তোলন করে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, জুলাই আন্দোলনের সময় ২১ জুলাই সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন ফয়েজ। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন ২২ জুলাই জানাজা শেষে ফয়েজের মরদেহ রায়পুরের পশ্চিম ঝাউডগি গ্রামের বাড়ির পাশে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
হাসান মাহমুদ শাকিল/আরএআর