বগুড়ায় কৃষি কর্মকর্তাকে হানিট্র্যাপে ফাঁসানোর সত্যতা পেয়েছে পুলিশ
বগুড়ার কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মুহা. মশিদুল হকের বিরুদ্ধে করা নাটকীয় ধর্ষণ মামলার অভিযোগ সত্য নয় বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। তদন্তে পাওয়া গেছে, হানিট্র্যাপের মাধ্যমে তাকে ফাঁসিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জড়িত দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বগুড়া সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
নজরুল ইসলাম বলেন, নিখুঁত তদন্তে মশিদুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এক নারী বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। তবে সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যালোচনায় অভিযোগ অসত্য প্রমাণিত হওয়ায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে তাকে দায়মুক্ত করা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা আরও জানান, কৃষি কর্মকর্তার দায়ের করা হানিট্র্যাপ ও চাঁদা দাবির মামলায় অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। গত ১৫ জুন অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে শহরের জলেশ্বরীতলা ইয়াকুবিয়া মোড়ে মশিদুল হকের পথরোধ করে আসামিরা কৌশলে তাকে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্য সাজিয়ে তা ধারণ করা হয় এবং তার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় মশিদুল হক গত ১ আগস্ট বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে জড়িত দুইজন, মালগ্রাম এলাকার এক নারী এবং সেউজগাড়ীর সৌরভের বিরুদ্ধে গত ১০ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
এমএএস