ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভাঙ্গা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি শহিদুল হক, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লাভলু মুন্সীসহ বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। তাদের স্বাগত জানিয়ে ফরিদপুর-৪ আসনের বিএনপি প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বলেন, সকলকে তো আমি বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিতে পারব না।

আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে ভাঙ্গা মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে ভাঙ্গা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত যোগদান সভা ও উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শহিদুল ইসলাম ওরফে বাবুল আরও বলেন, এলাকায় অনেক মানুষ আছে যারা আওয়ামী লীগ করে। তাদের সবাইকে কি বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেওয়া যাবে? সব মানুষ কি অন্যায় করেছে? যারা অন্যায় করেছে তারা কেউ পালিয়ে গেছে, কেউ গর্তে লুকিয়েছে।

শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, যাকে (ভাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক ওরফে মিরু মুন্সী) কেন্দ্র করে আমাদের আজকের এই সভা- তাকে নিয়ে আমি অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই তার সম্পর্কে ভালো বলেছেন। কেউ বলেনি যে তিনি আওয়ামী লীগের নামে বা দলের নামে কোনো অন্যায়, অনিয়ম বা জুলুম করেছেন। একজন মানুষও যদি অভিযোগ করত, তাহলে আমি তাকে এভাবে, এ মুহূর্তে গ্রহণ করতাম না। এটা আমার নীতির বিরুদ্ধে।

তিনি পুলিশ ও প্রশাসনকে উদ্দেশ করে বলেন, যারা অন্যায় করেছে, তাদের গ্রেপ্তার করুন। যারা অপরাধে জড়িত ছিল, তাদেরও গ্রেপ্তার করুন।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে শহিদুল ইসলাম বলেন, অনেক উন্নয়নের কথা শুনেছি, কিন্তু গত ১৭ বছরে এ এলাকায় কোনো উন্নয়ন হয়নি। গোপালগঞ্জে বিভাগ করতে পারেননি, তাই ফরিদপুরেও বিভাগ হয়নি। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ফরিদপুর বিভাগ হবেই। দেশে এমন পুরোনো জেলা নেই যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় নেই। গোপালগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে, কিন্তু ফরিদপুরে হয়নি।

তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে ভাঙ্গা মহিলা কলেজকে সরকারি করা হবে এবং ভাঙ্গায় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব মোল্লা, ভাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল হক, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লাভলু মুন্সী প্রমুখ।

জহির হোসেন/এআরবি