দুই ট্রলারসহ ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরকান আর্মি
ফাইল ছবি
বঙ্গোপসাগরের অদূরে মাছ ধরতে যাওয়া টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিনের দুটি ট্রলারসহ ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছেন মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ভোরে সেন্ট মার্টিনের ছেঁড়াদিয়ার পূর্বে মাছ ধরতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
ধরে নিয়ে যাওয়া একটি ট্রলারের মালিক সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বলেন, বুধবার কবির মাঝির নেতৃত্বে ছয়জন জেলেকে নিয়ে আমার ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরের সেন্ট মার্টিনের ছেঁড়াদিয়া এলাকায় মাছ ধরতে যায়। এ সময় বোটের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। আজকে ভোরে ছেঁড়াদিয়ার কাছাকাছি এলাকা থেকে ছয় জেলেকে আরাকান আর্মির সদস্যরা ধরে নিয়ে যায় বলে খবর পেয়েছি।
বিজ্ঞাপন
অপর ট্রলারটি স্থানীয় ইলিয়াস মাঝির বলে জানা গেছে, এ ঘটনায় মাছ ধরার ট্রলারের মালিক ও জেলেদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মিয়ানমারভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক জানায়, গত ২৮ অক্টোবর আরাকান আর্মির উপকূলীয় নিরাপত্তা ইউনিট সমুদ্র পথে টহল জোরদার করে। টহলের সময় আরাকান রাজ্যের জলসীমা অতিক্রম করে মাছ ধরতে থাকা কয়েকটি বাংলাদেশি ট্রলার শনাক্ত করা হয়। সেখানে তারা চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ১৮৮ জন বাংলাদেশি জেলে ও ৩০টি নৌকা আটক করে পরবর্তীতে মুক্তি দেয়। এছাড়াও বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী দুটি ট্রলারসহ ১২ জনকে আটকের বিষয়টিও প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
জানতে চাইলে সেন্ট মার্টিন ফিশিং ট্রলার সমবায় সমিতির সভাপতি আজিম উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন সময় মাছ ধরতে যাওয়া সাগর থেকে দেড় শতাধিক জেলেকে আটক করেছে আরাকান আর্মি। এসব জেলে এখনো তাদের হেফাজতে রয়েছে। তাদের ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেদের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে।
বিজিবি ও স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, গত দশ মাসে অন্তত ৩৭৮ জেলেকে অপহরণ করে আরাকান আর্মি। এর মধ্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সহায়তায় এদের প্রায় ২০০ জনকে কয়েক দফায় ফেরত আনা হয়। এখনো ১৭৮ জেলে আরাকান আর্মির হাতে বন্দি রয়েছে।
ইফতিয়াজ নুর নিশান/আরএআর