নামাজরত অবস্থায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, গ্রেপ্তার ২
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার দেওলভোগ দয়হাটা এলাকার বায়তুল আমান জামে মসজিদে নামাজরত অবস্থায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শ্রীনগর থানায় মামলা হয়েছে এবং দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে (বাদ মাগরিব) এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মসজিদের ভেতর নামাজ আদায় করছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার স্থানীয় একটি জানাজায় অংশ নিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু দয়হাটা এলাকায় আসেন। তিনি মসজিদে নামাজরত থাকা অবস্থায় একদল লোক হামলা চালায়। হামলায় সরাফত আলী সপুর আটজন কর্মী-সমর্থক আহত হন। গুরুতর আহতদের মধ্যে রয়েছেন আব্দুর রহিম (৪৮), আকতার হোসেন (৪৫) ও মমিনুল ইসলাম ফাহিম (২২)। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মীর সরাফত আলী সপু ঘটনা পরবর্তী সময়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, মুসলমান হিসেবে কি জানাজার নামাজও পড়তে পারবো না! সন্ত্রাসীরা আজ যা করেছে, ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার লোকজনও তা করেনি। চাপাতি দিয়ে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমরা আশা করি, প্রশাসন আজ রাতের মধ্যেই হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করবে।
শ্রীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরাফত আলী সপুর পক্ষে রুবেল নামের এক ব্যক্তি শ্রীনগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীর বলেন, মসজিদের ভেতর ও বাইরের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। বিএনপির দুই পক্ষের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে হামলার ঘটনা ঘটেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বিশিষ্ট শিল্পপতি শেখ মো. আবদুল্লাহকে। এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন সরাফত আলী সপু। মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর আগে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে সরাফত আলী সপু ও ওই আসনের আরও দুইজন মনোনয়নপ্রত্যাশী বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। চলমান উত্তেজনার মধ্যেই এ হামলার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ব.ম শামীম/এআরবি