কুমিল্লার লাকসামে মইন উদ্দিন অন্তর (১৮) নামে এক যুবককে হত্যা করে মরদেহ রেললাইনের পাশে ফেলে যাওয়ার ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- লাকসামের গন্ডামারা এলাকার মৃত এনায়েত হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ওরফে ক্যামেল (৩২), দক্ষিণ নরপাটি এলাকার সোলেমান খানের ছেলে  ইসমাইল খান (২৫), কাদরা এলাকার মোকছেদ আলীর ছেলে মিলন হোসেন ওরফে ছোট মিলন (১৫), একই এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. হাসান ওরফে এমআই হাসানসহ মোট ৯ জন। ঘটনার দিন থেকে রোববার (৩০ নভেম্বর) পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) র‍্যাব-১১ এর সিপিসি-২ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৫ নভেম্বর কুমিল্লার লাকসাম থানাধীন গন্ডামারা এলাকার জবাইখানা সংলগ্ন ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের পাশ থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে লাকসাম রেলওয়ে পুলিশ। নিহত মইন উদ্দিন অন্তর কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের নুরুন্নবীর ছেলে। এ ঘটনায় নিহত অন্তরের মা বাদী হয়ে লাকসাম রেলওয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন।

ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত হলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। আলোচিত এই খুনের ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের শনাক্তপূর্বক গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে র‍্যাব। গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা এবং প্রাপ্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনার পর থেকে ধারাবাহিক অভিযানে র‌্যাব-১১ এর একটি দল কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভিকটিম মইন উদ্দিন অন্তর গন্ডামারা এতিমখানা নামক স্থানে ভাঙাড়ির দোকানে কাজ করতেন। তিনি স্থানীয় খারাপ ছেলেদের সাথে চলাফেরা করতেন এবং চুরি ছিনতাই ও মাদক ব্যবসার মতো অপরাধমূলক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই চুরি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।  অন্তরের সঙ্গে আসামিদের চুরি ও ছিনতাইকৃত মালের বণ্টন ও মাদক নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। উক্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ঘটনার দিন ভিকটিম ও আসামিদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার জন্য লাকসাম গন্ডামার জবাইখানা সংলগ্ন রেল লাইনের পাশে ফেলে যায়।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লাকসাম রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

আরিফ আজগর/আরএআর