বগুড়ায় তালাকের বিষয়টি গোপন রেখে সাবেক স্ত্রীর নামে ব্যাংক ঋণ নেওয়া এবং নিজেকে স্বামী পরিচয় দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক রাখার অভিযোগে ফারুক হোসেন (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১২।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) আদালতের নির্দেশে ফারুককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সদর থানা পুলিশ। 

এর আগে মঙ্গলবার রাতে শহরের নামাজগড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-১২ সিপিএসসি স্কোয়াড্রন লিডার কোম্পানি কমান্ডার ফিরোজ আহমেদ।

র‌্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, বগুড়া সদরের সরলপুর এলাকার মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে ফারুক হোসেন কয়েক বছর আগে কাবিননামার মাধ্যমে ভুক্তভোগী নারীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই তিনি যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন।

একপর্যায়ে স্ত্রী একটি ব্যাংক থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে তা স্বামী ফারুকের হিসাবে জমা দেন। ফারুক ওই ঋণের কিস্তি পরিশোধ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে জানান, তিনি গত বছরের ৩ এপ্রিল স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। তবে অভিযোগ আছে, তালাকের তথ্য গোপন রেখে তিনি স্ত্রী পরিচয়ে শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখেন এবং কৌশলে ব্যাংক ঋণের টাকা নেন।

ঘটনা জানতে পেরে ভুক্তভোগী নারী সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় ধর্ষণসহ প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে ফারুক পলাতক ছিলেন। 

র‌্যাব আরও জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের নামাজগড় এলাকায় তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। পড়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে সদর থানার ওসি হাসান বাসির জানান, গ্রেপ্তারের পর নিয়মিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে এবং আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

এমএন