‘বস্তাপ্রতি সারের দাম ৬শ থেকে ৭শ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে’
বাজারে সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে। সরকারি নির্ধারিত মূল্যের তোয়াক্কা না করে বস্তাপ্রতি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দাম নেওয়া হচ্ছে। বাধ্য হয়ে চড়া দামে সার কিনেই কোনোমতে আবাদ চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
নাটোরের নলডাঙ্গায় ভরা মৌসুমে সারের তীব্র সংকট ও সার সিন্ডিকেটের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে এসব অভিযোগ করেন কৃষকরা। গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলার মাধনগর এলাকায় এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
কৃষকরা জানান, সারের ডিলার ও খুচরা দোকানগুলোতে সারের তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কৃষকরা এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ধরনা দিয়েও সার সংগ্রহ করতে পারছেন না। সার না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও স্থানীয়রা সার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
কৃষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, দ্রুত সার সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে চলতি মৌসুমে আবাদ চরমভাবে ব্যাহত হবে এবং ফসলের ফলন কমে যাবে। সারের অভাবে অনেক জমি পতিত থাকার শঙ্কা রয়েছে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে জাতীয় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায়। তারা এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কিষোয়ার হোসেন বলেন, কৃষকরা না বুঝে প্রয়োজনের অধিক সার নিতে চাচ্ছেন। কৃষকরা যেন পরিমিত সার ব্যবহার করে ফসল ফলাতে পারেন সেজন্য আমরা বিভিন্ন সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করছি। সারের কোনো সংকট নেই। কৃষি অফিস সবসময় কৃষকদের পাশে রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল ইমরান খান বলেন, কৃষকরা যাতে সঠিক সময়ে এবং সঠিক মূল্যে সার পান, সেটি নিশ্চিত করা জরুরি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আশিকুর রহমান/এনএফ