পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা দিন দিন আরও বাড়ছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ শেষ না হতেই হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় জেলার জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগও বেড়েছে চোখে পড়ার মতো।

টানা কয়েক দিন তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকলেও শনিবার সকাল ৯টায় নতুন করে ঠান্ডার তীব্রতা বাড়ে। তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ। ফলে পঞ্চগড় এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহের ঘরে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

গত ২ ডিসেম্বর তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরের তিন দিন (বুধবার-শুক্রবার) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্থির ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে দৃশ্যমানতা কমে গিয়ে যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলতে হয়েছে। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সকালে পঞ্চগড়ে কোথাও হালকা, কোথাও ঘন কুয়াশা দেখা যায়। শীত তীব্র হওয়ায় ভোর থেকেই বাড়িঘর ও রাস্তাঘাটের মোড়ে খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। শ্রমজীবী মানুষের কাছে আগুনই এখন একমাত্র ভরসা।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, তাপমাত্রার পারদ এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহের ঘরে অবস্থান করছে। ডিসেম্বরের শুরুতেই এমন পরিস্থিতি দেখা দেওয়ায় সামনের দিনগুলোতে শৈত্যপ্রবাহ আরও জোরদার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

মো. নুর হাসান/এমজে