কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুদকের কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে।

প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে হাসপাতালের বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই করা হয়। এ সময় বহির্বিভাগের চিকিৎসক ডা. সামরিন সুলতানার দায়িত্বে অবহেলা, নিয়মিত কর্মস্থলে অনুপস্থিত এবং স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ছুটিতে থাকার অভিযোগের নথিপত্র যাচাই-বাচাই করে প্রাথমিক সত্যতা পায় দুদক। এছাড়াও মেডিকেল কলেজে দায়িত্বে থাকা আরও অন্যান্য চিকিৎসকেরও দায়িত্বে অবহেলা পাওয়া যায়।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় জানান, রোগী দেখার সময় ডা. সামরিন সুলতানার মোবাইলে গেম খেলার একটি ভিডিও গণমাধ্যমে প্রচার হলে নানা অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালানো হয়। ডা. সামরিন সুলতানার দায়িত্বে অবহেলা, নিয়মিত কর্মস্থলে অনুপস্থিত এবং স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ছুটিতে থাকার অভিযোগের নথিপত্র যাচাই-বাচাই করে প্রাথমিক সত্যতা পায় দুদক। এছাড়া হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসকদের নথিপত্র যাচাইয়েও বিভিন্ন অসঙ্গতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। সব ডকুমেন্টস পর্যালোচনা শেষে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. আনোয়ারুল কবীর বলেন, দুদক থেকে বিভিন্ন অভিযোগে আমাদের হাসপাতালে এসেছিল। আমাদের কাছে যে যে কাগজপত্র চেয়েছে আমরা তা সরবরাহ করেছি। হাজিরায় অনুপস্থিতি ও ডাক্তাদের লেটে আসার বিষয়ে তিনি জানান, আমরা চিকিৎসকদের বারংবার সতর্ক করেছি। নিষেধ করেছি লেটে না আসার জন্য তারপরও এগুলো তারা করে। এবার থেকে তারা সাবধান হবে। আর ডা. সামরিন সুলতানার বিষয়ে আমাদের কমিটির কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করবো। বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়ে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সোনীয়া কাওকাবী বলেন, আমার এসব জানা ছিল না। আমি জানলাম। বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরএআর