যশোরে এক দিনে রেকর্ডসংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় ৬০১টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৭০ জন করোনা শনাক্ত হন। সংক্রমণের হার ৬১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এটিই জেলায় এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। একই সময়ে জেলায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৭২০ জনের। মারা গেছেন ১২৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৮৮৯ জন। যশোর জেলা সিভিল সার্জন সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।

এদিকে, সংক্রমণের ঊধ্বগতির লাগাম টানতে যশোরে টানা তিন সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। বিধিনিষেধের ১৬তম দিনেও সংক্রমণের গতি কমেনি, বরং আরও বেড়েছে। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ উদ্বিগ্ন। তারা বলছে, জেলায় করোনা নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সচেতন না হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

সিভিল সার্জন কার্যলয় সূত্রে জানা গেছে, যশোরে কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েও করোনা সংক্রমনের লাগাম টানা যাচ্ছে না। ২৪ ঘণ্টায় যশোরে ৬০১ জনের নমুনা পিসিআর ল্যাব ও অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে পরীক্ষা করে ৩৭০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এরমধ্যে যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঁচজন ও করোনা ইউনিটে একজন, খুলনার গাজীপুর মেডিকেলে কেশবপুর উপজেলার একজন, অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন এবং মনিরামপুরে বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনের মৃত্যু হয়।

গত ৯ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত এলাকাভিত্তিক বিধিনিষেধ আরোপ করা করা। এতে সংক্রমণ না কমায় গোটা জেলাজুড়ে আরও সাত দিনের বিধিনিষেধ আরোপ করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

এদিকে, যশোরে বর্তমানে তিন হাজার ৫০৭ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে করোনা ডেডিকেটেড যশোর জেনারেল হাসপাতালে ৮১ জন ও অন্যরা নিজ নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রতিদিনই বাড়ছে হাসপাতালে করোনা রোগীর সংখ্যা।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আরিফ আহমেদ বলেন, হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তির চাপ কমেনি। ১০ দিন ধরে একই রকম অবস্থা। প্রতিদিনই হাসপাতালের করোনা রেড ও ইয়োলো জোনে ৬০ থেকে ৭০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। 

সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, যশোরে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এখন গ্রামপর্যায়েও মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। সংক্রমণ কমতে সময় লাগবে। তবে লকডাউন বা বিধিনিষেধসহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে যেতে হবে।

জাহিদ হাসান/এমএসআর