সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, পুলিশ হেফাজতে ৯
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার জাবাখালী এলাকায় চলাচলের রাস্তা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গোলাম হোসেন (৬০) নামে এক ঘের ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গোলাম হোসেন জাবাখালি গ্রামের মৃত হামিজ উদ্দীন মোড়লের ছেলে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়জনকে হেফাজতে নিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন- এমান আলী মোড়লের ছেলে সেলিম মোড়ল, সাইফুল মোড়ল, ফারুক মোড়ল, বদর উদ্দিন মোড়লের ছেলে রেজাউল মোড়ল ও তার স্ত্রী মাছুমা বেগম, সেলিম মোড়লের স্ত্রী ফাতেমা বেগম, সাইফুল মোড়লের স্ত্রী মাহফুজা বেগম, ফারুক মোড়লের স্ত্রী জহুরা খাতুন এবং এমান আলীর স্ত্রী সফুরা বেগম। ঘটনার পর স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে তাদের ঘরবাড়ি এবং ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহতের ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলম জানান, বাড়ির সামনে চলাচলের পথ অনেকাংশ দখল করে রাখায় গোলাম হোসেনের এবং প্রতিবেশী রেজাউল মোড়ল, সাইফুল মোড়লসহ অন্যদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। স্থানীয়ভাবে সালিশ হলেও সমস্যা সমাধান হয়নি। পরে গোলাম হোসেন সাতক্ষীরা আদালতে মামলা করেন। মামলায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারি হলে প্রতিপক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। শনিবার সকালে বাড়ির সামনে কাজ করার সময় প্রতিপক্ষ দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে গোলাম হোসেনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শ্যামনগর হাসপাতালে নিয়ে আসলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞাপন
শ্যামনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে জানান, রাস্তা জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে নয়জনকে হেফাজতে নিয়েছে। এজাহার পেলে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি জব্দ করা হয়েছে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ইব্রাহিম খলিল/আরএআর