ফেনীতে রূপালী ব্যাংক থেকে গ্রাহকের টাকা উধাও, এক মাসেও হয়নি উদ্ধার
ফেনীর সোনাগাজীতে রূপালী ব্যাংকের আমির উদ্দিন মুন্সিরহাট শাখা থেকে একই পরিবারের তিন গ্রাহকের হিসাব থেকে তাদের অগোচরেই ১৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ করলেও এখনো ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে পারেনি।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ভুক্তভোগী গ্রাহক আবুল বশর।
বিজ্ঞাপন
লিখিত বক্তব্যে আবুল বশর বলেন, “রূপালী ব্যাংকের সোনাগাজীর আমির উদ্দিন মুন্সিরহাট শাখা থেকে আমার হিসাব থেকে ৩৩ হাজার টাকা, আমার মেঝো ছেলে মনসুর আলমের হিসাব থেকে ১৮ লাখ ৫ হাজার টাকা ও ছোট ছেলে ইফতেখার আলমের হিসাব থেকে ৯৫ হাজার টাকা আমাদের অজান্তেই ইসলামী ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংকের কয়েকটি শাখার বিভিন্ন হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। গত ১৩ নভেম্বর ব্যাংকের ম্যানেজার দিদারুল আলম আমাকে ডেকে নিয়ে এ কথা জানিয়েছেন। তারপর থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত মেঝো ছেলে মনসুর আলমের হিসাবে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব থেকে ৬ লাখ টাকা ফেরত এসেছে। কিন্তু বাকি টাকার বিষয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আর কোনো সদুত্তর দেয়নি।”
“এ নিয়ে থানায় জিডি ও মানববন্ধন করেছিলাম। এ কাণ্ডে ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশ থাকতে পারে। আমাদের হিসাবের টাকার সবধরনের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব ছিল ব্যাংকের। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমাকে সহযোগিতা না করে হয়রানি করছে। তারা অর্থ আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। আমি এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত, দোষীদের বিচার ও আত্মসাৎ করা সব টাকা ফেরত চাই।”
বিজ্ঞাপন
রূপালী ব্যাংক আমির উদ্দিন মুন্সিরহাট শাখার ব্যবস্থাপক দিদারুল আলম বলেন, “তিনটি অ্যাকাউন্ট থেকে ট্রান্সফার হওয়া টাকাগুলো অ্যাপসের মাধ্যমে ট্রান্সফার করা হয়েছে। অ্যাপসের লেনদেন হেড অফিস সরাসরি তদারকি করে। এই লেনদেনে আমি বা আমার শাখার কারও দায় নেই। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। এছাড়া ঘটনা অবগত হয়ে প্রথম দিন থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক মো. আবুল বশরকে মামলা করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি এখনো কোনো মামলা করেননি। ব্যাংক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, এখানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া আইন বহির্ভূত। অথচ গত ২ ডিসেম্বর তারা ব্যাংকে তালা ঝুলিয়ে মানববন্ধন করে। ”
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি ব্যাংকের দেখার কথা। জিডি করার ঘটনাও আমি যোগদানের আগে। তারপরও খোঁজ নিয়ে দেখব।”
তারেক চৌধুরী/এসএমডব্লিউ