প্রধান শিক্ষকের গাফিলতি, বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারলো না ১০ শিক্ষার্থী
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ১৬ বছর পর আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে জুনিয়র বৃত্তির বাংলা বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রধান শিক্ষকের গাফিলতির কারণে প্রবেশপত্র না পাওয়ায় ১০ জন শিক্ষার্থী জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। এ ঘটনায় শিক্ষক ও সচেতন মহলের মধ্যে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কয়ারপাড় বীর বিক্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতি নিলেও শেষ পর্যন্ত পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারেনি।
বিজ্ঞাপন
কয়ারপাড় বীর বিক্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিশাদ বাবু, মেহেদী, সুমাইয়া আক্তারসহ আরও অনেকে জানায়, আমরা অনেক দিন আগেই বৃত্তি পরীক্ষার ফি জমা দিয়েছি। প্রধান শিক্ষক বাড়ি বাড়ি গিয়েও পরীক্ষার ফি নিয়েছেন। এরপর থেকেই আমরা উপবৃত্তির আশায় ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু আজ পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার আগে শুনি আমাদের প্রবেশপত্র আসেনি। তাই পরীক্ষা দিতে পারিনি। এতে আমরা অনেকটাই নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েছি, এত দিনের প্রস্তুতি সব বৃথা গেল।
অভিভাবক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, আমার মেয়ের পরীক্ষার ফি আমি নিজে গিয়ে দিয়েছি। আজ সকালে শুনলাম তাদের প্রবেশপত্র আসেনি। অনেক দিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছিল, কিন্তু প্রধান শিক্ষকের কারণে আজ তারা পরীক্ষা দিতে পারলো না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কয়ারপাড় বীর বিক্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, বৃত্তির জন্য ১০ জনকে সিলেক্ট করা হয়েছিল। তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৪০০ টাকা নেওয়া হয়। সময়মতো নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং সময়মতো টাকাও নেওয়া হয়েছে। তবে বোর্ডের অনলাইনে টাকা জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়ে যায়। পরে বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। যেসব প্রক্রিয়া করে আবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল, তা পরে আর সম্পন্ন হয়নি।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় আলামিন মিয়া বলেন, প্রধান শিক্ষক কাজটি ঠিকভাবে করেননি। এর ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের মনোবল হারিয়ে ফেলবে।
কেন্দ্র সচিব ও থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৈয়ব আলী বলেন, আজ ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৩২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২২৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। কয়ারপাড় বীর বিক্রম, দক্ষিণ খাওরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং মুদাফৎ থানা এইচ সি উচ্চ বিদ্যালয়ের কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সবুজ কুমার বসাক বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। আপনার কাছ থেকেই প্রথম শুনলাম। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মমিনুল ইসলাম বাবু/এআরবি