রাজবাড়ীর কালুখালীতে সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাকের এক্সেল ভেঙে যাত্রীবাহী নসিমনের সঙ্গে সংঘর্ষে আলমাস আলী (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নারী ও শিশুসহ আরও অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কালুখালী উপজেলার সাইনবোর্ড এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আলমাস আলী গোয়ালন্দ উপজেলার ছব্দুল খাঁ পাড়ার বাসিন্দা। দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- গোয়ালন্দ উপজেলার ছব্দুল খাঁ পাড়ার আক্কাস আলীর ছেলে রিয়াদ (১৩), মেয়ে আকলিমা (১৭), নিহত আলমাসের স্ত্রী লিজা বেগম (৩০), মেয়ে ইয়াসমিন (১১), দুলুর ছেলে সিয়াম (১২), তার স্ত্রী কমেলা বেগম (৪৬), করিমের ছেলে আক্কাস (৩৫) এবং রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়নের বসুপাড়া গ্রামের বশির মল্লিকের ছেলে জামিরুল (৪৫)। আহতদের রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আনোয়ার কোম্পানির সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাক রাজবাড়ী থেকে পাংশার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় ট্রাকটির এক্সেল ভেঙে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবোঝাই একটি নসিমনকে ধাক্কা দেয়। এতে নসিমনের এক যাত্রী আলমাস আলী ট্রাকের চাকার নিচে চাপা পড়েন। পরে হাইওয়ে থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় চার ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সিমেন্ট সরিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

নসিমনচালক মুকুল জানান, তিনি নাটোরের লালপুর উপজেলার বাসিন্দা। তারা নাটোর থেকে নসিমনে করে আলমাস আলীর পরিবার-পরিজন নিয়ে গোয়ালন্দে আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে কালুখালীর সাইনবোর্ড এলাকায় ট্রাকটির এক্সেল ভেঙে গিয়ে নসিমনকে ধাক্কা দিলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

পাংশা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, ট্রাকের এক্সেল ভেঙে নসিমনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এআরবি