নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন সরবরাহের জন্য ট্যাংক ও যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ শেষ হলেও সরবরাহ না থাকায় করোনা রোগীদের অক্সিজেন দেওয়া যাচ্ছে না। বিস্ফোরক দ্রব্যের লাইসেন্স না থাকায় লিকুইড অক্সিজেন পাচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। লিকুইড অক্সিজেন পাওয়া গেলে এই হাসপাতালে একসঙ্গে ৯৬ জন রোগীকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন দেওয়া যাবে। 

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে করোনা রোগীসহ অন্যান্য জরুরি রোগীদের জন্য লিকুইড অক্সিজেন সরবরাহ প্রয়োজন। লিকুইড অক্সিজেন সরবরাহের জন্য হাসপাতালে ট্যাংক স্থাপনসহ অন্যান্য কাজ শেষ হয়েছে। তবে লিকুইড অক্সিজেন সরবরাহের অভাবে এটি চালু করা যাচ্ছে। এই হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন সরবরাহ চালু হলে এখানে চিকিৎসাধীন ৯৬ জন রোগীকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব। 

নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ও নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ বলেন, বর্তমানে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতাল ও জেলার আরও তিন উপজেলায় যথাক্রমে সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা চালু আছে। এসব কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ কেন্দ্রের মাধ্যমে এক সঙ্গে ৩০ জন করে রোগীকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব। বর্তমানে অক্সিজেন সিলিন্ডারের মাধ্যমে করোনা রোগীসহ অন্যান্য রোগীদের অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। 

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ২৫০ শয্যার নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন সরবরাহের জন্য লিকুইড ট্যাংক স্থাপনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র লিকুইড সরবরাহ না থাকার কারণে আমরা রোগীদের লিকুইড অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারছি না। অথচ লিকুইড পাওয়া গেলে এই হাসপাতালে এক সঙ্গে ৯৬ জন রোগীকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব। 

কেন লিকুইড অক্সিজেন পাওয়া যাচ্ছে না? এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. এবিএম আবু হানিফ বলেন, এটি পেতে হলে বিস্ফোরক দ্রব্যের লাইসেন্স প্রয়োজন। সেটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি খুব শিগগিরই লাইসেন্স পেয়ে লিকুইড অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারব। 

শামীনূর রহমান/আরএআর