কঠোর লকডাউনের মধ্যেও বিয়েতে ৪০০ লোকের খাওয়ার আয়োজন চলছিল। বড় করে প্যান্ডেল সাজানো হয়েছিল। বিয়েবাড়ির রান্নাও শেষ পর্যায়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

শুক্রবার (২ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে পাটাভোগ ইউনিয়নের জশুরগাঁও গ্রামে নিমাইপারা এলাকায় কনে ও বরের বাড়িতে হাজির হয়ে বিয়ের খাবারের আয়োজন বন্ধ করে দেন ইউএনও প্রণব কুমার ঘোষ। পরে রান্না করা খাবার এতিমখানার শিশু ও দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, উপজেলার পাটাভোট ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের ভাই বাবুর সঙ্গে একই গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে বাধন আক্তারের বিয়ের আয়োজন চলছিল।

শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেদায়েতুল ইসলাম ভূঁইয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, একই গ্রামের ছেলে ও মেয়ের বিয়েটি হচ্ছিল। আমরা উভয়পক্ষের বাড়িতে গিয়েছিলাম। লোকসমাগম বন্ধ করে ছেলের সঙ্গে দু-একজন লোক নিয়ে মেয়েকে নিয়ে যেতে বলা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও শ্রীনগর ইউএনও প্রণব কুমার ঘোষ বলেন, ৪০০ মানুষকে দাওয়াত দিয়ে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। সংবাদ পেয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু বিয়েটি পূর্ব প্রস্তুতিমূলক ছিলো তাই শুধু ছেলেপক্ষকে দু-একজন লোক নিয়ে মেয়েকে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ব ম শামীম/এমএসআর