মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশের মতো দ্বীপজেলা ভোলায়ও কঠোর লকডাউন চলছে। সরকারি কঠোর লকডাউনে যথাযথভাবে পালন নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মাঠে নেমেছেন নৌবাহিনী সদস্যরা।

এদিকে লকডাউন অমান্য করায় লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে ৮৯ জনকে ৬৮ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা ও ৪ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে দুদিনে আইনের আওতায় আনা হয়েছে ১৯৮ জনকে।

কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জেলা প্রশাসনের ১২টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে কাজ করছেন নৌবাহিনীর সদস্য। এছাড়াও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ২১টি চেকপোস্টের পাশাপাশি ১১টি মোবাইল টিম লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।

ঘরের বাইরে বের হয়ে বাজারে ঘুরাফেরা ও আড্ডা না দিতে সাধারণ মানুষকে  সচেতন করছেন আইনশৃঙ্খলারক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।শুক্রবার (২ জুলাই) স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন ও সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তাবয়নে ১২টি মোবাইল কোর্ট ৮৫টি মামলা করা হয়েছে।

এসব মামলায় ৮৯ জনের ৬৮ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা ও ৪ জনকে ৩ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে জেলার অধিকংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিপণিবিতান বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে অটোরিকশাসহ সব প্রকার গণপরিবহন। তবে মূল সড়কে কঠোর লকডাউন থাকলেও অলিগলিতে মানুষের চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক ছিল।

ভোলা জেলা প্রশাসক তৌফিক ই-লাহি চৌধুরী জানান, লকডাউন বাস্তবায়নে সকাল থেকেই ভোলার ৭টি উপজেলার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা আগে জনগণকে সচেতন করেছি লকডাউন মানার জন্য। এখন বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় বের হলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এমএসআর