দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের লেবুখালীর পায়রা নদীর ওপর নির্মিত দক্ষিণের মানুষের স্বপ্নের ‘পায়রা সেতু’ স্বপ্নের পায়রা সেতুর শেষ দিকের কাজ। দৃষ্টিনন্দন পায়রা সেতু ও নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে সাধারণের জন্য সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। ফলে জেলার প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য নতুন বিনোদনের স্থান হিসেবে যুক্ত হতে যাচ্ছে স্বপ্নের পায়রা সেতু এলাকা।  

জানা গেছে, নির্মাণাধীন পায়রা সেতুতে পদ্মা সেতু থেকেও ৫০ মিটার বড় দুটি স্প্যান বসানো হয়েছে। নান্দনিক এক্সট্রাডোজ ক্যাবল বক্স গার্ডার নদীর মধ্যে মূল সেতুর ৬৩০ মিটার। এজন্য ২০০ মিটারের দু’টি স্প্যান ও দু’পাশে দু’টি স্প্যান ১১৫ মিটার নির্মাণ করা হয়েছে।

এক হাজার ৪৭০ মিটার (চার হাজার ৮২০ ফুট) দৈর্ঘ্যের ও ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার (৬৪ দশমিক ৮ ফুট) প্রস্থের এক্সট্রা বক্স গার্ডার। সেতুটি উভয় দিকে সাত কিলোমিটারজুড়ে নির্মাণ করা হবে অ্যাপ্রোচ সড়ক। 

এছাড়া সেতুটি নদীর জলতল থেকে ১৮ দশমিক ৩০ মিটার উঁচু। ফলে নদীতে নৌযান চলাচলে কোনো অসুবিধা হবে না। সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে আলোকিত হবে সেতুটি। ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই পায়রা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

পায়রা সেতু প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মোহাম্মদ আবদুল হালিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইলেক্ট্রিক পুল লাগানো শুরু হয়েছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে টোলপ্লাজার সরঞ্জাম প্রকল্প এলাকায় চলে আসবে। 

ইতোমধ্যে ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে এ সেতুর । শুধু ২০০ মিটার জায়গায় ফেরিঘাট সচল থাকায় ওই অংশে কাজ চলছে না। অন্য অংশে জিও ব্যাগ ডাম্পিং ও ব্লক হয়ে গিয়েছে। পার সংরক্ষণের জন্য যে পিচিং সেটি চালু থাকবে। আর একটি সংযোজন রয়েছে যা কাজের শেষে দেখা যাবে। নদী শাসনের যে এমভিরমেন্ট বিটি-২, বিউটিফিকেশন, ল্যান্ডস্ক্যাফিংয়ের কাজ রয়েছে তার ডিজাইন চলছে। যা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে। যাতে করে জনগণ সেখানে যাতায়াত করতে পারে। সেখানে অবসর সময়ে সুন্দর একটি সময় কাটাতে পারে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

পায়রা সেতুতে যানবাহন চলাচলের তারিখ সম্পর্কে তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ। সব কিছু ঠিক থাকলে ৩১ অক্টোবরের আগেই সেপ্টেম্বর মাসেই যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
 
মহিব্বুল্লাহ্/এসএম