ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার চেঁচরীরামপুর ইউনিয়নের মহিষকান্দি গ্রামে একটি নির্মাণাধীন বাড়ির নতুন সেপটিক ট্যাংকের সেন্টারিং খুলতে গিয়ে বিষাক্ত গ্যাসে রাজমিস্ত্রিসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আরও একজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মঙ্গলবার (০৬ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন- ভান্ডারিয়া উপজেলার গাজীপুর গ্রামের বাসিন্দা রাজমিস্ত্রি আসাদুল (৩০) ও কাঁঠালিয়া উপজেলার চেঁচরীরামপুর ইউনিয়নের মহিষকান্দি গ্রামের শাহাদাতের ছেলে মজনু (২৫)। একই গ্রামের ইদ্রিস খানের ছেলে শুভ (২২) গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।   

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে মহিষকান্দি গ্রামের মিরাজ খানের নির্মাণাধীন বাড়ির নতুন সেপটিক ট্যাংকের সেন্টারিং খুলতে যান রাজমিস্ত্রি আসাদুল। ট্যাংকের ভেতরে গিয়ে সেন্টারিংয়ের কাঠ খোলার সময় বিষাক্ত গ্যাসে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ অবস্থা দেখে বাড়ির মালিকের ভাই পলাশ খান প্রতিবেশী যুবক মজনুকে ডেকে নিয়ে আসেন রাজমিস্ত্রিকে উদ্ধার করার জন্য। মজনু তাকে উদ্ধার করতে ট্যাংকের ভেতরে ঢুকলে তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েন। 

এ সময় আরেক প্রতিবেশী যুবক শুভ দুইজনকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে আসলে তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনজনকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী জেলা পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মজনু ও আসাদুলের মৃত্যু হয়। শুভকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। 

কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় ঢাকা পোস্টকে জানান, সেপটিক ট্যাংকের কাজ তিন-চার মাস আগেই শেষ হয়েছিল। আজকে খুলতে গিয়ে বিষাক্ত গ্যাসে অসুস্থ হয়ে দুজন মারা গেছেন। একজন অসুস্থ হয়েছেন। 

ওসি আরও জানান, ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় কাঁঠালিয়া থানায় বিকেল ৩টা পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইসমাঈল হোসাঈন/আরএআর