মফিজুর রহমান

যশোরের শার্শায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুইদিনের ব্যবধানে মফিজুর রহমান (৪৫) ও আশুরা খাতুন (৪৫) নামে যমজ ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা উপজেলার উলাশী ইউনিয়নের বড়বড়িয়া গ্রামের মৃত ফরিদ মোড়লের যমজ ছেলে ও মেয়ে।

এদের মধ্যে আশুরা খাতুন গতকাল সোমবার (০৫ জুলাই) বিকেল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অপরদিকে মফিজুর রহমান (৪৫) গত শনিবার (০৩ জুলাই) দুপুরে মারা যান। আশুরা খাতুন গৃহিণী আর মফিজুর রহমান শার্শার বাগআঁচড়া বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী ।

মৃতদের বড় ভাই শার্শার বাগআঁচড়া বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী বকতিয়ার হোসেন জানান, তার ছোট ভাই ও বোন একই দিনেই জন্মগ্রহণ করেন। ছোট ভাই মফিজুর করোনা আক্রান্ত হলে কিডনি ও হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। পরে তাকে গত ২৩ জুন  খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ২৮ জুন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ৩ জুলাই সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মফিজুর। অপরদিকে ভাইকে দেখাশোনার জন্য তার সঙ্গেই ছিলেন বোন আশুরা। সেখান থেকে কোনোভাবে করোনা আক্রান্ত হন আশুরা। শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার তিনিও মারা যান।  

বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবীর বকুল জানান, দুইদিনের ব্যবধানে যমজ ভাই-বোনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শার্শা উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৩০০ জনের মত মানুষ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া বাড়িতে বাড়িতে করোনার উপসর্গ জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছে অনেকে। প্রতিদিনই দুই-তিনজন মারা যাচ্ছে। 

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইউছুফ আলী জানান, মৃতরা করোনা আক্রান্ত ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদেরকে দাফন করা হয়েছে। এছাড়া সতর্কতা হিসেবে মৃতদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার শার্শা উপজেলায় ৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

আতাউর রহমান/আরএআর