কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবির থেকে সাত রোহিঙ্গাকে আটক করেছে ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন)। এসব রোহিঙ্গারা ভারতের সম্ভাল, মুরাদাবাদ, দিল্লি ও উত্তর প্রদেশ থেকে মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করে ক্যাম্পে আসে। 

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দুপুরে তাদের আটক করার কথা নিশ্চিত করেছেন ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক।

আটককৃতরা হলেন, মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার বুচিডং এলাকার মৃত মকবুল আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আমিন (৩৫), তার স্ত্রী খতিজা বেগম (২৭), মেয়ে বিবি হাফছা, একই এলাকার ছলিম মাহমুদের ছেলে আব্দুর রহমান (২৭), তার স্ত্রী সানজিদা বেগম (২৫), ছেলে মোহাম্মদ ওমর (৫) মেয়ে ইয়াসমিন ফাতেমা (৮) ও তাদের কুতুপালংয়ের মধুছড়া ক্যাম্পে আশ্রয় দেওয়া রহিমা খাতুন (৩০)।

এপিবিএন সূত্রে জানা যায়, রোহিঙ্গা আব্দুর রহমান ও মোহাম্মদ আমিন ২০১০ সালে মিয়ানমার থেকে ভারতে যায়। আর খতিজা ও সামজিদা তাদের মা রহিমাসহ ১৫ বছর আগে মিয়ানমার থেকে ভারতে যায়। সেখানে আব্দুর রহমান ও মোহাম্মদ আমিনের সঙ্গে খতিজা ও সামজিদার বিয়ে হয়। ২০১৭ সালে মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসার পর রহিমা খাতুন তার এক মেয়ে রাবেয়া বেগম ও ৩ ছেলে ছানাউল্যা, রোকন উল্যা ও মো. সেলিমকে নিয়ে ভারত থেকে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প-০৩ এর জি/১-ব্লকে বসবাস করতে থাকে। 

রহিমা খাতুন ভারতে থাকা তার মেয়ে ও মেয়ের জামাইদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে সবসময় যোগাযোগ রাখতেন। আব্দুর রহমান ও মোহাম্মদ আমিন তাদের পরিবারসহ ভারতের উত্তরপ্রদেশের সম্ভাল, মুরাদাবাদের বিকাশপুরী শরণার্থী ক্যাম্পের নিবন্ধিত শরণার্থী হলেও তারা সেখানে কোনো রেশন পেত না। তারা সেখানে রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাতেন। তাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার কোনো সুযোগ ছিল না। সুযোগ-সুবিধার জন্য বাংলাদেশে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আটকের পর ক্যাম্প সিআইসির সঙ্গে কথা বলে তাদের ট্রানজিট ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত এখনো প্রক্রিয়াধীন।

ওএফ