যশোর পৌরসভা কর্তৃক চালের খাজনা ও টোল বৃদ্ধির প্রতিবাদে বুধবার (০৭ জুলাই) সারাদিন যশোর বড়বাজারে চাল বিক্রি বন্ধ ঘোষণা করেছে ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বড়বাজার চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ। 

সংবাদ সম্মলনে তিনি বলেন, দুই মাস আগে বড় বাজারের ইজারাদার প্রদীপ কুমার নাথ বাবলু, চালের খাজনাসহ টোল বৃদ্ধির পায়তারা শুরু করেন। বিষয়টি পৌর মেয়র হায়দার গণি খান পলাশকে জানালে তিনি খাজনা ও টোল বৃদ্ধি করা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু মঙ্গলবার হঠাৎ করে ইজাদার ও পৌর কাউন্সিলর খাজনা ও টোল বৃদ্ধির তালিকা নিয়ে হাজির হন। যেখানে বস্তা প্রতি চাল আমদানি ও রফতানির খাজনা ৬ টাকার পরিবর্তে ১৫ টাকা করা হয়েছে। 

আবার টোল ১০ টাকার পরিবর্তে ১৫ টাকা করা হয়েছে। পৌর মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ স্বাক্ষরিত এই রেট নিয়ে টোল আদায় করতে আসেন ইজারাদার প্রদীপ কুমার নাথ বাবলু। 

তিনি আরও বলেন, পৌরসভার এই অনৈতিক ও নিয়ম বহির্ভূত খাজনা ও টোল বৃদ্ধির কারণে ভোক্তা পর্যায়ে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। এতে বাজারে প্রতি কেজি চালের মূল্য বৃদ্ধি পাবে এবং বাড়তি অর্থ গুনতে হবে ভোক্তাদের। করোনার এই বিপদকালীন চাল ব্যবসায়ীরা মানবিক দিক বিবেচনা করে সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু পৌর মেয়রের এই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের জন্য মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দাঁড়াবে। 

পৌরসভার টোল বৃদ্ধির কোনো এখতিয়ার নেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ছাড়া। প্রতি বৈশাখের প্রথমে ইজারা ও টোল ধার্য হয়। সেখানে হঠাৎ করেই দুই মাস পর এমন সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বেআইনি। বুধবার এর প্রতিবাদে বড় বজারের চাল ব্যবসায়ীরা প্রতীকী ধর্মঘটের অংশ হিসেবে চাল বিক্রি করবেন না। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- যশোর চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুশীল বিশ্বাস, সহসভাপতি হুমায়ুন কবির, যুগ্ম সম্পাদক বদরুল আলম, সদস্য বিষ্ণুপদ সাহা, শহিদুল বিশ্বাস, গোপাল চন্দ্র ঘোষ, ইসহক সরকার প্রমুখ। পরে নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারক লিপি প্রদান করেন।

এই বিষয়ে যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গণি খান পলাশের কাছে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

জাহিদ হাসান/এসপি