যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআচড়াতে করোনায় জীবন হারানো সেই মফিজুরের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চুরি সংঘটিত হয়েছে। ‘জনতা টেড্রাস’ নামের দোকান থেকে নগদ অর্থ ও হিসাবের খাতাপত্র নিয়ে যায়। তবে পরিবারের ধারণা, পাওনা টাকা আত্মসাৎ করতে খাতাপত্র চুরি করেছে একটি মহল। এ ঘটনায় পুলিশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছে।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দিবাগত রাতে শার্শার সাতমাইল বাজারে অবস্থিত জনতা টেড্রাস নামের সার ও কীটনাশকের দোকানে এ চুরি সংঘটিত হয়।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাগআচড়া শেখ আফিল উদ্দীন ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আতিয়ার রহমান থানায় অভিযোগ করেছেন।

এদিকে পরিবারটিতে একমাত্র উপার্জনের মানুষটির মৃত্যুর শোক সইতে না সইতে দুর্বৃত্তদের এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। দোকানে থাকা সিসি ক্যামেরা থেকে চুরির ভিডিও চিত্র সংগ্রহ করেছে পুলিশ। ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, এক যুবক দোকানের ভেন্টিলেটর ভেঙে দোকানে প্রবেশ করছে।

এর আগে ৩ জুলাই মফিজুর ও দুই দিন পর সোমবার তার যমজ বোন আশুরা বেগম করোনা আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

মফিজুর রহমানের বড় ভাই শফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান, মফিজুর এলাকার বড় সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী ছিলেন। ধারণা মতে, তার প্রায় ৩ থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকার মতো মানুষের কাছে পাওনা ছিল। কেউ না কেউ পাওনা টাকা পরিশোধ না করার চক্রান্তে হিসাবের এসব খাতাপত্র চুরির ঘটনা ঘটাতে পারে। পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি তারা তদন্ত করছে।

শার্শার বাগআচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল ফরিদ ঢাকা পোস্টকে জানান, গত এক সপ্তাহের সিসি ক্যামেরার ভিডিও চিত্র ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করা করেছে পুলিশ। এখন অপরাধী শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।

এনএ