করোনা রোগীর চাপে রমেকে আরও ৫০ শয্যা বৃদ্ধি
দেশের অন্যান্য বিভাগের মতো রংপুরেও প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সারি দীর্ঘ হচ্ছে। বিভাগের কোথাও মিলছে না সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য আইসিইউ শয্যা। রোগী ভর্তির তালিকা দীর্ঘ হতে থাকায় সাধারণ শয্যাও সহসা ফাঁকা থাকছে না। রোগীর চাপে বিভাগের একমাত্র বিশেষায়িত করোনা আইসোলেশন হাসপাতালেও জায়গা সংকুলান হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট আরেকটি আইসোলেশন ওয়ার্ড চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (০৭ জুলাই) দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে করোনা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কমিটি। সন্ধ্যায় ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন হিরম্ব কুমার রায়।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ইউনিটের পশ্চিমে নতুন একটি ভবনে এই ইউনিট চালু হবে। সরঞ্জামাদিসহ সার্বিক প্রস্তুতি নিতে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। ৫০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হবে।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, রংপুরে দিন দিন করোনা রোগীদের চাপ বাড়ছে। ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে রোগীদের শয্যা ফাঁকা নেই। এ কারণে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ তলায় ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডটি করোনা ইউনিট করা হয়েছে। সেখানে ৩১টি শয্যা রয়েছে। এখন করোনায় আক্রান্তের হার অনেক বেশি। এ কারণে আমরা আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।
বিজ্ঞাপন
ডা. হিরম্ব কুমার রায় বলেন, নতুন করোনা ইউনিটে ৩৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এছাড়া রংপুর প্রাইম ও ডক্টরস নামে বেসরকারি দুটি হাসপাতালেও করোনা রোগীদের শয্যা নেই। সেখানকার আইসিইউতে রোগীর চাপ রয়েছে। এ কারণে আমরা নতুন করে ৫০ শয্যার একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রয়োজন হলে শয্যা আরও বাড়ানো হবে।
এ দিকে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলার ৪ জন, দিনাজপুরের ৩ জন, রংপুরের ২ জন, লালমনিরহাটের ২ জনসহ নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের ১ জন করে রয়েছেন। এ নিয়ে গত ছয়দিনে বিভাগে করোনায় প্রাণ হারাল ৮৭ জন। বিভাগে শনাক্তের হার ৪১ দশমকি ৮০ শতাংশ।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর