বরিশাল বিভাগে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ৪১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময় মারা গেছেন ১১ জন। করোনা আক্রান্ত হয়ে একজন এবং উপসর্গ নিয়ে ১০ জন মারা যান। আরটিপিসিআর ল্যাবে শনাক্তের হার ৫১ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ও শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয় থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রমণ তথ্যে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে বরিশাল জেলায় ১২৫ জন। এ পর্যন্ত এই জেলায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৮২৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু না হলেও আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন ১৩৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৬৯৮ জন।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে ঝালকাঠি জেলায় ৯৩ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হলেন ২ হাজার ৩৬৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু না হলেও মোট মারা গেছেন ৩৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪০৭ জন।

পটুয়াখালী জেলায় নতুন শনাক্ত হয়েছে ৩৯ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭১৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু না হলেও আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন ৫৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩৫৬ জন।

ভোলা জেলায় নতুন শনাক্ত হয়েছে ৩৪ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৮১ জন। ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু না হলেও এখন পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ২৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১৮ জন।

পিরোজপুরে নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৬১ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭৬৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত কারও মৃত্যু না হলেও মোট মারা গেছেন ৪৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭৫৮ জন।

বরগুনায় নতুন শনাক্ত হয়েছে ৬২ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭০৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু নিয়ে মোট মারা গেছেন ৩১ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩১৮ জন।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালকের তথ্য সংরক্ষক জে. খান স্বপন জানান, বিগত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের আইসোলেশনে ৩৩ জন ভর্তি হন। এর মধ্যে উপসর্গ নিয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ২১৭ জন চিকিৎসাধীন রোগী আছেন। যার মধ্যে ৫৭ জনের করোনা পজিটিভ, ১৬০ জন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় ১৮৯ জনের নমুনা আরটি পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করানো হয়েছে। এর মধ্যে ৫১ দশমিক ৮৫ শতাংশের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগের ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার) বিভাগে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১২ জনের। আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিলেন ৬২২ জন। আক্রান্তের হার ছিল ৬৯ দশমিক ১৪ শতাংশ।

বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় ২০২০ সালের ৯ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। সেই থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভাগের ৬ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ২০ হাজার ৫৬৮ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৩২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৫৫৫ জন।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এনএ