শিশুটির হাতে উপহার তুলে দিচ্ছেন নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিঞা

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলামের উপহার পেল বাবার লাশ পাহারা দেওয়া শিশু মরিয়ম। তার বাড়িতে গিয়ে উপহার পৌঁছে দেন নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিঞা।

শুক্রবার (৯ জুলাই) বিকেলে শিশু মরিয়মের বাড়িতে ছুটে যান পুলিশ সুপার। এ সময় পরিবারের খোঁজ খবর নিয়ে শিশুটির হাতে তুলে দেন ডিএমপি কমিশনারের দেওয়া নগদ বিশ হাজার টাকা। পাশাপাশি সবার কাছ থেকে পাওয়া অর্থ ব্যাংকে জমা রাখার পরামর্শও দেন।

পুলিশ সুপার বলেন, ছোট্ট শিশু মরিয়ম বাবার লাশ পাহারা দিয়েছে এবং বসে বসে কেঁদেছে। বিষয়টি মানুষের হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে। এর আগে আমরা তাকে সহযোগিতা করেছি। সেই ধারাবাহিকতায় ডিএমপি কমিশনার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ সময়, মরিয়মকে সহযোগিতা করার জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান পুলিশ সুপার। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাপাহার সার্কেল (এএসপি) বিনয় কুমার, অফিসার ইনচার্জ ওসি শফিউল আযম খান, এস আই সোহাইল হোসেনসহ থানা পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা। সাংবাদিক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

গত ৫ জুলাই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান মজিবুর রহমান। পরে মৃতের সাতবছর বয়সী শিশু মরিয়ম একা একা বসে বাবার লাশ পাহারা দেয়। শিশুটির লাশ পাহারা দেওয়া ও কান্নার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়।

মরিয়মের বাবা মজিবুর রহমান নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার নিতপুর ইউনিয়ন এর চকবিষ্ণপুর গ্রামের ফজর আলীর (কালু গোয়াল) সন্তান। তিনি পেশায় একজন ফেরিওয়ালা ছিলেন। গ্রামে গ্রামে ঘুরে পাতিল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি।  

শামীনূর রহমান/আরএইচ