রংপুর নগরীতে নির্মাণাধীন একটি ভবনের ওপর থেকে পড়ে যাওয়া ইটের আঘাতে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। নিহতের নাম অর্জুন বাসফোঁড় (৫৭)। তিনি পেশায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী ছিলেন। শনিবার (১০ জুলাই) দুপুরে নগরীর সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ রোডে শালবন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ। এ ঘটনায় বাসার মালিক ও রাজমিস্ত্রিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

ঢাকা পোস্টকে ওসি জানান, শনিবার সকাল থেকে শালবন এলাকার রামপাল চন্দ্রের নির্মাণাধীন তিনতলা ভবনের কাজ চলছিল। হঠাৎ দ্বিতীয়তলার একদিকের দেয়ালের ইট খসে নিচে পড়ে যায়।

এ সময় ওই বাসায় ময়লা-আবর্জনা নিতে আসা পরিচ্ছন্নতাকর্মী অর্জুন বাসফোঁড় নিচে অপেক্ষা করছিলেন। ওপর থেকে পড়ে যাওয়া ইটের আঘাতে অর্জুনের মাথা থেঁতলে গিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।

দুর্ঘটনার সময় রাজমিস্ত্রি জাকির হোসেন সেখানকার দ্বিতীয়তলায় কাজ করছিলেন। তিনি বলেন, হঠাৎ দেয়াল খসে ইট পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে নিচে নেমে এসে দেখি একজন বৃদ্ধ লোক ছটফট করছে। বিষয়টি বাসার মালিককে জানিয়ে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করি। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন ওই রাজমিস্ত্রি। আর বাসার মালিক রামপাল চন্দ্র এটা দুর্ঘটনা বলে দাবি করে বলেন, দুর্ঘটনাটি কারো ইচ্ছায় ঘটেনি। এটা নিছক দুর্ঘটনা। আমি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে আহত অর্জুনকে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

এ দিকে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানাজানি হলে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ওই বাসাটির সামনে জড়ো হতে থাকে। পরে পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসার মালিক রামপাল (৬০) ও রাজমিস্ত্রি জাকির হোসেনকে (২৬) আটক করে গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

ওসি আব্দুর রশিদ জানান, ওই ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএসআর