ভারত থেকে পানির ন্যায্য হিস্যাবঞ্চিত বাংলাদেশের উত্তরের জনজীবন, কৃষি ও প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে বিজ্ঞানসম্মতভাবে তিস্তা মহাপরিকল্পনাসহ ছয় দফা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ।

সংগঠনটির দাবি, খরা ও বন্যায় নিষ্পেষিত উত্তরের ২ কোটি মানুষ এখন দিশেহারা। তাদের বাঁচাতে তিস্তা চুক্তি সই এবং মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা জরুরি।

বুধবার (১৪ জুলাই) দুপুরে করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে সংবাদ সম্মেলনে তিস্তা বাঁচাতে মহাপরিকল্পনাসহ ছয় দফা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানী।

নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, তিস্তায় সারা বছর পানির প্রবাহ ঠিক রাখা, ভাঙন, বন্যা, খরায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকসহ অসহায় মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ এখন সময়ের দাবি। এ দাবির বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে তিস্তাবেষ্টিত জনজীবন, কৃষি ও প্রকৃতি চরম হুমকির মুখে পড়বে।

তিনি আরও বলেন, পানিবঞ্চিত রেখে উত্তরের জনজীবন, কৃষি ও প্রকৃতিকে তিলে তিলে হত্যা করা হচ্ছে। এই হত্যা থামাতে হবে। তিস্তা বাঁচাতে শুধু আশ্বাস নয়, চুক্তির মাধ্যমে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে।

এ সময় নদীর বাংলাদেশপ্রান্ত বাঁচাতে ছয় দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে তিস্তা নদী সুরক্ষায়‌ ‘মহাপরিকল্পনা’ দ্রুত বাস্তবায়ন, অভিন্ন নদী হিসাবে ভারতের সঙ্গে ন্যায্য হিস্যার ভিত্তিতে তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন করা।

এছাড়া তিস্তা নদীতে সারা বছর পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে জলাধার নির্মাণ, তিস্তার ভাঙন, বন্যা ও খরায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের স্বার্থ সংক্ষণ করতে হবে। ভাঙনের শিকার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত ছিলেন সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান, স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ও বেরোবি শিক্ষক নদী গবেষক ড. তুহিন ওয়াদুদ, স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য নুরুজ্জামান খান, সদস্য শফিকুল ইসলাম কানু, আমিন বিএসসি, মোজফফর হোসেন।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএসআর