করোনা মহামারি মোকাবিলায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিজস্ব অর্থায়নে চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রদান করেছেন কাহালু-নন্দীগ্রাম আসনের সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন। 

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুপুর ১২টায় বগুড়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে জেলার সিভিল সার্জন ডা. গওসুল আজম চৌধুরীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এসব চিকিৎসা সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।

করোনা মোকাবিলায় এসব চিকিৎসা সরঞ্জাম সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। চিকিৎসা সরঞ্জামগুলো মধ্যে রয়েছে- সাতটি অক্সিজেন সিলিভার, ১০টি অক্সিজেন ফ্লোমিটার, অক্সিজেন মাস্ক, সার্জিক্যাল মাস্কসহ চিকিৎসা সামগ্রী ও আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম হস্তান্তর করা হয়। 

হস্তান্তরের সময় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, জেলা বিএনপি নেতা আলী আসগর তালুকদার হেনা, এম আর ইসলাম স্বাধীন, তাহাউদ্দিন নাহিন, ড্যাব নেতা ডা. শাজাহান আলী, ডা. আসফারুল হাবিব রোজ, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েল, যুগ্ম আহ্বায়ক সরকার মুকুল, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যানসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রদানের সময় মোশারফ হোসেন বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার, অক্সিজেন ফ্লো মিটারসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে যাতে করোনা রোগীদের সেবায় এসব সরঞ্জাম কাজে লাগে। কর্তব্যরত ডাক্তাররা যাতে রোগীদের দ্রুত সেবা দিতে পারেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এই চিকিৎসা সরঞ্জামগুলো দেওয়া হয় বলেও জানান তিনি।

চিকিৎসা সরঞ্জাম গ্রহণের সময় জেলার সিভিল সার্জন ডা. গওসুল আজম চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. লোকমান হোসেন উপস্থিত ছিলেন। 

চিকিৎসা সরঞ্জাম গ্রহণের সময় এমপি মোশারফ হোসেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে জেলার সিভিল সার্জন ডা. গওসুল আজম চৌধুরী বলেন, এখন দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এ অবস্থায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সবার মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারলে করোনাকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

সাখাওয়াত হোসেন জনি/ওএফ