নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাসেম ফুডসের কারখানায় আগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মালিক আবুল হাসেম এবং উপমহাব্যবস্থাপক মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা করেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বিকেলে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর নারায়ণগঞ্জের উপমহাপরিদর্শক সৌমেন বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার দুুপুর ১২টা ৫ মিনিটে আদালত মামলাটি গ্রহণ করেন।

উপমহাপরিদর্শক সৌমেন বড়ুয়া জানান, মামলাটি করেছেন সংস্থার পরিদর্শক নেছার আহমেদ। নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার খরচ যদি ওই কারখানার মালিক না দেন তাহলেও আমরা তার বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে আরও কয়েকটি মামলার করব।

তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডের আগে ওই কারখানা পরির্দশন করা হয়। কারখানায় নানা সমস্যা খুঁজে পাওয়া যায়। ৩০ জুন কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতর নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী শ্রম পরিদর্শক সৈকত মাহমুদ শ্রম আইনে হাসেম ফুডসের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

তিনি আরও জানান, কিন্তু কারখানার মালিকসহ কর্তৃপক্ষ সেই মামলার পরিপেক্ষিতে কোনো জবাব দেননি। এমকি দুর্ঘটনাজনিত প্রাণহানি হলে দুই কার্যদিবসের মধ্যে ওই ঘটনা কলকারখানা পরিদর্শককে নোটিশ করে জানানোর বিধান থাকলেও হাসেম ফুডস কারখানাটি তা করেনি।

এ কারণে কারখানার মালিক আবুল হাসেম ও উপমহাব্যবস্থাপক মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে শ্রম আইন ২০০৬ এর ৮০ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারায় মামলা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৮ জুলাই হাসেম ফুডস কারখানায় আগুন লাগে। এ ঘটনায় ৫২ জনের মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কারখানার মালিক আবুল হাসেম, তার চার ছেলেসহ আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে। পুলিশ তাদের চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। বুধবার তাদের আদালতে হাজির করা হলে মালিক আবুল হাসেমসহ ছয়জনকে কারাগারে পাঠানো হয়। এদিকে হাসেমের দুই ছেলের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
 
মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া/এমএসআর