শরীয়তপুর-চাঁদপুর ফেরিঘাটে ৩ কিলোমিটার যানজট
খুলনা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গরুবোঝাই গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। এতে শরীয়তপুরের নরসিংহপুর ফেরিঘাট এলাকায় তিন কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার আব্দুল মমিন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, যাত্রীবাহী বাস পারাপারের জন্য দাঁড়িয়ে আছে। তবে গরু বোঝাই ট্রাককে প্রধান্য দিয়ে ফেরি চলাচল করছে। বিশ্বরোডের খায়ারপট্টি এলাকা থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এলাকায় ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। গাড়ির চাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাফিক পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
যশোর থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী শহিদুল বলেন, নিজ এলাকা থেকে কয়েকজনের গরু নিয়ে এসেছি। বিক্রি করে তাদের টাকা দেব। কিন্তু গরুর যে অবস্থা তাতে মনে হয় বাঁচানো দায় হয়ে যাবে। দেশে গিয়ে কি জবাব দেব। রাত ১টায় ঘাট এলাকায় এসেছি।
আরেক ব্যবসায়ী বলেন, কাল রাত ১২টায় ফেরিঘাটে এসেছি। কিন্তু এখনো ওপার যেতে পারিনি। আমার সামনে এখনো ৭০টির বেশি গাড়ি রয়েছে। কখন যে ওপারে যেতে পারব তার কোনো ঠিক নেই। গরু দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার কারণে হাঁপিয়ে উঠেছে। এখন বুঝতেছি না কি করব। ফেরি না বাড়ালে আমরা খামারিরা মাঠে মারা যাব।
বিজ্ঞাপন
বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার আব্দুল মমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘাটে ছয়টি ফেরি চালু রয়েছে। দুদিন ধরে গাড়ির চাপ থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা প্রতিদিন ৪২০ থেকে ৪৫০টি গাড়ি পাড় করতে পারি। গতকাল ৬টি গরু মারা গেছে। গরু বোঝাই ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসকে প্রাধান্য দিয়ে আমাদের ফেরি চলাচল করছে। আজ একটি নতুন ফেরি যোগ হয়েছে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসপি