৩০ মণের ‘খান বাহাদুরে’ ভাগ্য পরিবর্তনের আশা শফিউল্লাহর
চাঁদপুর সদর উপজেলার সফরমালি গরুর হাট থেকে এক বছর বয়সের একটি বাছুর কিনেছিলেন। ভালোবেসে নাম রেখেছিলেন খান বাহাদুর। দীর্ঘ চার বছর ধরে তাকে লালন-পালন করে কোরবানির জন্য তৈরি করেছেন। এবার ঈদে খান বাহাদুরকে বিক্রি করে ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন ফরিদগঞ্জের শফিউল্লাহ খান।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১ নং বালিথুবা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ রাজাপুর খান বাড়ির আমিনুল হক খানের ছেলে শফিউল্লাহ খান (৪৬)। এ বছর তার সব স্বপ্ন খান বাহাদুরকে ঘিরে। গরুটির ওজন ৩০ মণের বেশি বলে দাবি করছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
চাঁদপুরে এত বড় গরু খুব একটা দেখা না যাওয়ায় অনেকেই গরুটি দেখতে তার বাড়িতে ভিড় জমান। এতে খামারি শফিউল্লাহ কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়লেও এটাকে খুশি মনেই গ্রহণ করেন তিনি। ইতোমধ্যে অনেকেই গরুটিকে কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় এখনো বিক্রি হয়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, গরুটি উচ্চতায় সাড়ে ৫ ফুট এবং লম্বায় ৭ ফুটের মতো। তাছাড়া গরুটি অনেক রাগী হওয়ায় তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে ২-৩ জন লোকের প্রয়োজন।
বিজ্ঞাপন
ওই বাড়ির লোকজন জানায়, গরুটিকে দেশীয় খাবার (খৈল, ভূসি, খুদ, ভুট্টা, আম, কাঁঠাল, কলা, কুমড়া) খাইয়ে পালন করেছে শফিউল্লাহ। কোনো ধরনের ক্ষতিকারক কিছু দেওয়া হয়নি। গরুটিকে দেখতে প্রতিদিনই আশপাশের গ্রাম থেকে লোকজন এসে ওই বাড়িতে ভিড় করছেন।
এ সময় স্থানীয় বাতেন গাজী, রুবেল খান, শাকিবসহ বেশ কয়েকজন বলেন, চাঁদপুরে এত বড় গরু আমরা দেখিনি। অন্যান্য জেলায় বড় গরুর খবর পাওয়া গেলেও চাঁদপুরে তেমন একটা দেখা যায় না। তাই লোকমুখে শুনে ছুটে এসেছি এক নজর দেখতে। তবে লকডাউনে এত বড় গরু কেনার গ্রাহক পেতে কষ্ট হবে খামারি।
শফিউল্লাহ খান বলেন, গরুটির সঠিক পরিচর্যা ও খাবার ঠিক রাখতে গিয়ে আমার দোকানের অবস্থা করুণ হয়ে গেছে। দোকানে কোনো মাল নেই। সব টাকাই এই গরুর পেছনে চলে গেছে। তাই আশা করছি, এবার কোরবানির ঈদে খান বাহাদুরকে বিক্রি করলে ভালো একটি দাম পাব। আর তা দিয়ে দোকানটিকে আবার নতুন করে সাজাব।
চাঁদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার উদ্দিন জানান, গরুর সাইজের তালিকা আমাদের কাছে নেই। তবে গরুটি যদি হাইব্রিড জাতের হয়ে থাকে তাহলে ৪ বছরে ওজন ৩০ মণ বা তার বেশি হওয়া স্বাভাবিক।
শরীফুল ইসলাম/এসপি