খুলনায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্দ্ধমুখী। ফলে হাসপাতালে ধারণক্ষমতার চেয়ে রোগীর চাপ বেশি। শয্যাসংকটের কারণে অতিরিক্ত রোগীদের করোনা হাসপাতালের ফ্লোরে চিকিৎসাসেবা প্রদান করতে হয়েছে।

রোববার (১৮ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত খুলনা ১৩০ শয্যার করোনা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ২০৬ জন। যা ধারণক্ষমতার চেয়েও অনেক বেশি রোগী ভর্তি ছিল।

অবশেষে সেই সংকটের অবসানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৩০ শয্যার ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালকে ২০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। একইসঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়েছে নতুন সেন্ট্রাল অক্সিজেন ট্যাংক। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, খুলনায় বতর্মানে তিনটি সরকারি ও একটি বেসরকারি হাসপাতালে চলছে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা। এই চারটি হাসপাতালে শয্যা রয়েছে ৪৭৫টি। এর মধ্যে খুলনার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ২০০টি, খুলনা জেনারেল হাসপাতালে ৮০টি, খুলনা আবু নাসের হাসপাতালে ৪৫টি ও বেসরকারি গাজী মেডিকেল হাসপাতালে ১৫০টি শয্যা রয়েছে।

যার মধ্যে ২টি সরকারি হাসপাতাল ও একটি বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছে ৪০টি আইসিইউ বেড। এর মধ্যে খুলনা ১৩০ শয্যার ডেডিকেটেড হাসপাতালে ২০টি আইসিইউ শয্যা ও শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ১০টি আইসিইউ বেড রয়েছে। 

করোনা হাসপাতালের ফোকাল পারসন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিল ২০৬ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ১৪১ জন, ইয়ালো জোনে ২৬ জন, আইসিইউতে ১৯ জন এবং এইচডিইউতে ২০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৭ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৫ জন।

মোহাম্মদ মিলন/এমএসআর