এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদগাহে ঈদুল আজহার জামাতের অনুমতি দেওয়া হলেও সিলেটের কোনো ঈদগাহেই ঈদের জামাত হবে না। সিলেটের ছোটবড় মসজিদগুলোতেই হবে ঈদের জামাত। একই অবস্থা হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জেও।

সিলেট প্রতিনিধি জানিয়েছেন, করোনার কারণে এবারও সিলেটের শাহী ঈদগাহসহ শহরের কোনো ঈদগাহে ঈদের জামাত হবে না। এ অবস্থায় বুধবার (২১ জুলাই) সকাল ৮টায় হজরত শাহজালাল জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, কালেক্টরেট জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ও কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে ঈদের জামাত। এসব মসজিদে একাধিক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে সিলেট জেলায় ৫ হাজার ২০৩টি  জামে মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত আয়োজনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম। এছাড়া সিলেট মহানগর এলাকায় এবার সাড়ে ১১শ মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

মসজিদগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং সার্বিক পরিস্থিতি পুলিশ পর্যবেক্ষণ করবে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের।

এদিকে হজরত শাহজালাল (র.) মাজার  মসজিদের খতিব আসজাদ আহমদ বলেন, মসজিদের ভেতরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জামাতের আয়োজন করা হচ্ছে। মসজিদের বাইরে কেউ নামাজে অংশ নিতে পারবেন না। তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জামাতে অংশগ্রহণের অনুরোধ জানান।
 
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, হবিগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদ ও শহরের টাউন মসজিদে পৃথক দুটি করে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। কোর্ট মসজিদে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। এতে ইমামতি করবেন মসজিদের খতিব মাওলানা গোলাম মোস্তফা নবীনগরী।

দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়। ইমামতি করবেন মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মুজিবুর রহমান। শহরের টাউন (চাঁন মিয়া) মসজিদে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮ টায়। ইমামতি করবেন মসজিদের খতিব মাওলানা নাছির উদ্দিন আখনজি। ২য় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৯টায়। এতে ইমামতি করবেন হাফেজ আব্দুল ওয়াদুদ।

হবিগঞ্জ চৌধুরী বাজার কেন্দ্রীয় সুন্নী জামে মসজিদে সকাল ৮টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা আব্দুল মজিদ পিরিজপুরী, হবিগঞ্জ সওদাগর মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। ইমামতি করবেন হবিগঞ্জ দারুস সুন্নাহ কামিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল মুকিত। এছাড়াও বায়তুল আমান জামে মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। এতে ইমামতি করবেন মসজিদের ইমাম মুফতি আলমগীর হোসাইন সাইফী। জামেয়া আরাবিয়া ইসলামিয়া উমেদ নগর মাদরাসা মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮ টায়। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা তাফহীমুল হক।

পিটিআই জামে মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। ইমামতি করবেন মসজিদের খতিব কাজী মাওলানা আব্দুল জলিল। রেলওয়ে জামে মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। এতে ইমামতি করবেন মসজিদের ইমাম মুফতি শাহ আলম। শায়েস্তানগর জামে মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। ইমামতি করবেন মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা আব্দুল আলী। গাউছিয়া জামে মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা জহিরুল ইসলাম। খামারবাড়ি জামে মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। ইমামতি করবেন মসজিদের খতিব ও ইমাম আহমদ রেজা সুন্নীয়া একাডেমির অধ্যক্ষ মাওলানা নাছির উদ্দিন।

টিএনটি জামে মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। এতে ইমামতি করবেন মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল আলীম।

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় মসজিদে ঈদুল আজহার  তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত সাড়ে ৮টা ও শেষ জামাত ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে।

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবার ঈদগাহে জামাত অনুষ্ঠিত হবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ভেতরেই ঈদের নামাজ আদায় করা হবে।

তুহিন আহমদ/আরএআর