ফাইল ছবি

যশোর শহরতলীর খোলাডাঙ্গার চাঞ্চল্যকর শিশু আফরিন তৃষা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায়ে দুই আসামিই বেকসুর খালাস পেয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সোমবার (১১ জানুয়ারি) যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক টিএম মুসা এ রায় দেন। 

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- খোলাডাঙ্গার মৃত আউয়ালের ছেলে সাইফুল ইসলাম ও কামরুল গাজীর ছেলে মেহেদী ওরফে শক্তি গাজী। 

এদিকে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী নিহতের বাবা তরিকুল ইসলাম। রায়ের বিপক্ষে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।

জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩ মার্চ বিকেলে আফরিন তৃষা খেলতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে উদ্ধারে ব্যর্থ হন স্বজনরা। পরদিন সন্ধ্যার বাড়ির পাশে গর্ত দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। গর্ত খুঁড়ে তৃষার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত তৃষার বাবা শহরতলীর খোলাডাঙ্গা গ্রামের সালভেশন আর্মিপাড়ার ওমর আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া ইজিবাইক চালক তরিকুল ইসলাম অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে কোতয়ালী থানায় মামলা করেন।  পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাইফুল ইসলামকে আটক করে। তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে উঠে আসে হত্যাকারীদের নাম। এরপর পুলিশ সাইফুলের স্বীকারোক্তিতে প্রধান আসামি মাদক ব্যবসায়ী শামীমকে গ্রেফতার করে। পরে  পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বন্দুকযুদ্ধে তার মৃত্যু হয়।  

গ্রেফতার এড়াতে অপর আসামি শক্তি গাজী আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় ওই দুইজনকে অভিযুক্ত ও মারা যাওয়ায় শামীমের অব্যহতি চেয়ে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের পরিদর্শক শিহাবুর রহমান। এ মামলায় দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে খালাসপ্রাপ্ত দুইজনকে মুক্তি দেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর সেতারা খাতুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আটক দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় বিচারক তাদের এ মামলার দায় থেকে খালাস দিয়েছেন।

আরএআর