পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ/ ছবি : ঢাকা পোস্ট

ভোলায় মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তলিয়ে গেছে অন্তত ২০টি দ্বীপচর। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) দুপুরে উত্তাল মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পূর্ণিমায় সৃষ্ট জোয়ারে পানির উচ্চতা বেড়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে মেঘনার পানি প্রবাহিত হয়। পর পর দুই দিন পানিতে প্লাবিত হলো জেলার নিচু এলাকা।

এদিকে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ভেসে গেছে পুকুর ও মাছের ঘের।

মেঘনার উপকূলবর্তী চরনিজাম, কলাতলীর চর, চর যতিন, চর জ্ঞান, কুকরি-মুকরি, ঢালচর, চর পাতিলা, মাঝের চর, চর শাহজালাল, কচুয়াখালীরচরসহ ২০টি চর প্লাবিত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

ভোলা সদর উপজেলা নাসির মাঝি এলাকার খোরসেদ মিয়া বলেন, মেঘনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘরবন্দি হয়ে পড়েছি।

কুকরি-মুকরি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বেল্লাল হোসেন জানান, দুই দিন ধরে জোয়ারে কুকরি-মুকরি ও চরপাতিলার নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে চর পাতিলায় বিস্তীর্ণ এলাকা মেঘনার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

চর শাহশাজাল এলাকার বাসিন্দা মো. নাছির উদ্দিন বলেন, জোয়ারে পানির কারণে মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে অনেক।

চর কচুয়ার বাসিন্দা কামাল হোসেন জানান, দুই দফা জোয়ারে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন চরের বাসিন্দারা। বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

ঢাল চরের বাসিন্দা মো. শাহে আলম জানান, স্বাভাবিকের চেয়ে পানির চাপ অনেক বেশি, এতে কয়েকশ ঘর বাড়ি ও দোকানপাট তলিয়ে গেছে। গত দুই দিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান জানান, মেঘনার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পূর্ণিমায় সৃষ্ট জোয়ারে পানির উচ্চতা বেড়েছে। এজন্য নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তেমন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি।

ইমতিয়াজুর রহমান/এসকেডি