ওমানের মাস্কাট শহরে নিজ কর্মস্থলে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে রফিকুল ইসলাম ইমন (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় তার মৃত্যুর সংবাদ আসে। এর আগে সকালে মায়ের সঙ্গে ইমনের শেষ কথা হয়।  

ইমন নোয়াখালীর কবিরহাট পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড ঘোষবাগ এলাকার কাজী বাড়ির আবুল কালামের ছেলে। তার অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

শুক্রবার রাত ১১টায় ইমনের মৃত্যুর বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন তার প্রতিবেশী শরিফুল ইসলাম দিদার। তিনি জানান, তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে ইমন ছিলেন তৃতীয়। জীবিকার তাগিদে বড় ভাই নজরুল ইসলাম সুমনের সহযোগিতায় ২০১৫ সালে ওমানে যান ইমন। পরে ওমানের মাস্কাট শহরে একটি ভবন তৈরির কোম্পানিতে সুপারভাইজার হিসেবে কাজ নেন। ওমান যাওয়ার পর থেকে আর দেশে আসেননি তিনি।

শুক্রবার সকালে মায়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা শেষ করে কর্মস্থলে যান ইমন। দুপুর ১২টার দিকে ক্যারন মেশিনে উঠে বহুতল ভবনের কাজ দেখছিল ইমন। এ সময় ভবনের ওপর থেকে লোহার একটি অংশ তার মাথায় পড়লে অচেতন হয়ে পড়েন ইমন।

পরে কোম্পানির লোকজন উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ইমনকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে ইমনের মরদেহ স্থানীয় একটি হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

সন্ধ্যায় ইমনের মৃত্যুর খবর তার দেশের বাড়িতে পৌঁছালে স্বজনদের মধ্যে আহাজারি সৃষ্টি হয়। মা-বাবা, ভাই-বোনসহ পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন। ছেলেকে হারিয়ে কান্নায় মূর্ছা যাচ্ছেন ইমনের মা। ইমনের মরদেহ দেশে আনতে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

হাসিব আল আমিন/এসপি