টানা চারদিন ঈদের ছুটি শেষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে শুরু হয়েছে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। ফলে নিস্তেজ হয়ে পড়া বন্দরে আবারো কর্মব্যস্ততা ফিরেছে।

শনিবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত চারদিন ঈদের ছুটিতে বন্দর বন্ধ ছিল।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, ঈদের ছুটিতে বেনাপোল বন্দরে বাণিজ্য বন্ধ ছিল। এ সময় অক্সিজেন ছাড়া অন্য কোনো পণ্য আমদানি হয়নি। শনিবার ছুটি শেষে আবারো দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি স্বাভাবিক হয়েছে। বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা ছুটিতে গিয়েছিলেন সবাই কর্মস্থলে যোগ দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা যেন বন্দর থেকে আমদানি-রফতানি পণ্য দ্রুত খালাস নিতে পারেন সেজন্য সংশিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, ঈদের ছুটির মধ্যেও জরুরি অক্সিজেন আমদানি হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে সবধরনের পণ্যের আমদানি শুরু হয়েছে। যথাযথ নিয়মে সরকারের রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে কাস্টমস সদস্যরা পণ্য খালাস কার্যক্রম সম্পাদন করছেন। 

এ সময় তিনি আরও জানান, দেশের অর্থনীতি সচল ও পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে করোনাকালীন আমদানি-রফতানি পণ্য ছাড় করাতে কাস্টমস হাউস যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। 

উল্লেখ্য, প্রতিদিন ভারত থেকে প্রায় সাড়ে ৪শ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। যা থেকে সরকারের ২০ থেকে ৪০ কোটি পর্যন্ত রাজস্ব আসে। এ ছাড়া প্রতিদিন বাংলাদেশি প্রায় দেড়শ ট্রাক পণ্য রফতানি হয় ভারতে। বছরে রফতানির পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার মে. টন। বর্তমানে সরকারি আর সপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া অন্যান্য দিনে ২৪ ঘণ্টা সচল থাকে বন্দর ও কাস্টমসের বাণিজ্যিক কার্যক্রম। আমদানি পণ্যের মধ্যে গার্মেন্টস, কেমিকেল, তুলা, মাছ, মেশিনারিজ ও শিশু খাদ্য উল্লেখযোগ্য। রফতানি পণ্যের মধ্যে বেশির ভাগ রয়েছে পাট ও পাটজাতদ্রব্য। রাজস্ব আয় ও বাণিজ্যিক দিক থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের পরেই বেনাপোল বন্দরের অবস্থান।

এসপি