গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় ১৩ জন এবং উপসর্গ নিয়ে একজন মারা গেছেন। শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে শনিবার (২৪ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। 

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০০ শয্যার করোনা ইউনিটে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন ২২৮ জন। এর মধ্যে করোনা নিয়ে এ পর্যন্ত ভর্তি রয়েছেন ২৬৮ জন এবং ৬০ জন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। 

এদিকে নতুন ২০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৭৮ জন। নতুন ৬৭ জনসহ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৯৩৯ জন। 

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৩৬ শতাংশ। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ৬৭ জনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদরের ৩৬ জন, দৌলতপুরের চারজন, কুমারখালীর ২৩ জন, ভেড়ামারার ৮ জন, মিরপুরের চারজন ও খোকসার দুজন রয়েছেন।

এখন পর্যন্ত জেলায় ৮১ হাজার ১২ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৭৭ হাজার ১৮৯ জনের। বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৭৩১ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২৩২ জন ও হোম আইসোলেশনে আছেন ৩ হাজার ৬০৯ জন।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণে মানুষ আগের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনার নতুন স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়ায় একজনের দ্বারা অনেক লোক আক্রান্ত হতে পারে। এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসককে আরও কঠোর হতে হবে।
 
রাজু আহমেদ/এসপি