শেরপুরের নকলা উপজেলায় বাল্যবিবাহের আয়োজনের অপরাধের বর ও কনের বাবাকে ২৫ হাজার করে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। রোববার (২৫ জুলাই) রাত ১১টায় এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বসিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদুর রহমান বিয়ে বন্ধ করে তাদের এ দণ্ড দেন।

বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পাওয়া শিশু (১৪) স্থানীয় একটি উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। বর উরফা ইউনিয়নের লয়খা গ্রামের মো. ছাহের আলীর ছেলে খলিলুর রহমান।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, রোববার নকলা সদর উপজেলার মো. আব্দুল হাইয়ের অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের সঙ্গে উরফা ইউনিয়নের লয়খা গ্রামের মো. ছাহের আলীর ছেলে খলিলুর রহমানের সঙ্গে বিয়ের আয়োজন চলছিল।

এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান কনের বাড়িতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বর ও কনের বাবা উভয়কে ২৫ হাজার টাকা করে ৫০ হাজার অর্থদণ্ড দেন। পাশাপাশি ছেলে ও মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিয়ে দেবেন না মর্মে উভয় পরিবারের অভিভাবকদের কাছে মুচলেকা গ্রহণ করা হয়।

নকলা ইউএনও জাহিদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই উপজেলায় বাল্যবিবাহ কোনোভাবেই হতে দেওয়া হবে না। তবে গোপনে কোনো বাল্যবিবাহের আয়োজন করা হলে সংশ্লিষ্ট পরিবারের অভিভাবক, বর, আয়োজক ও নিকাহ রেজিস্ট্রারকে আইনের আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসের ৩০ তারিখে নকলা উপজেলাকে জেলার প্রথম বাল্যবিবাহমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করে প্রশাসন।

জাহিদুল খান সৌরভ/এনএ