পাবনায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস ও উপসর্গে সাবেক জনপ্রতিনিধি, স্কুলশিক্ষক, খেলোয়াড়সহ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ১৪৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সোমবার (২৬ জুলাই) দুপুর থেকে মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত তারা মারা যান।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিদ সোহেল রানা জানান, জেনারেল হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৬ জন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন ৫ জন। বাকি চারজন ঢাকা ও রাজশাহীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। নিহতদের বাড়ি পাবনা সদরের ডাকবাংলো, নাজিরপুর ও সুজানগর উপজেলায়। 

পাবনা সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা অংশুপ্রতীম বিশ্বাস জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পাবনায় ৬০০ নমুনা পরীক্ষা করে ১৪৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

উপসর্গে মৃতরা হলেন ঈশ্বরদীর সারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জার্জিস হোসেন (৬৫), পাবনা সদরের পৌর এলাকার পৈলানপুরের খেলোয়াড় আলতাফ হোসেন (৬৫), সুজানগর আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আজমিরী সুলতানা পলি (৪৫) ও ভাঙ্গুড়ার রামচন্দ্রপুর মল্লিকচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম (৪০)।

এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনায় ৩ জন ও উপসর্গে মারা যাওয়া ২ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা যাওয়া ৬ জনের পরিচয়ও পাওয়া যায়নি।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক ডা. সালেহ মোহাম্মদ আলী জানান, করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা কম। সাধারণ মানুষ যার যার অবস্থান থেকে যদি সচেতন হন তাহলে করোনা সংক্রমণ আরও নিম্নপর্যায়ে চলে আসবে।

রাকিব হাসনাত/এমএসআর