সাভারে কলেজ অধ্যক্ষসহ নিখোঁজ ৩, ফেরার অপেক্ষায় পরিবার
সাভারে একটি বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষসহ তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। গত ১৫ দিনে তারা সাভার ও আশুলিয়া থেকে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পর সংশ্লিষ্ট থানায় ডায়েরি করেও তাদের সন্ধান মেলেনি। তিনজনের পরিবারই তাদের ফেরার অপেক্ষায় পথ চেয়ে রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৫ দিন আগে সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণ (৩৬) নিখোঁজ হন। গত ১৩ জুলাই (মঙ্গলবার) আশুলিয়ার জামগড়া সংলগ্ন বেরন এলাকার রূপায়ন মাঠের নিজ বাসা স্বপ্ন নিবাস থেকেই নিখোঁজ হন তিনি। এর পর থেকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ রয়েছে। সাত দিন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে ২২ জুলাই নিখোঁজ ডায়েরি করেন ছোট ভাই দীপক চন্দ্র বর্মণ।
বিজ্ঞাপন
দীপক চন্দ্র বর্মণ জানান, তার ভাই মিন্টু চন্দ্র বর্মণ দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে দুই বছর আগে সাভারে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করেন। যার নাম দেন সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। যার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছিলেন মিন্টু। কিন্তু হঠাৎ ভাই উধাও হয়ে গেলেন। আমাদের দিন কাটছে চরম আতঙ্কে। এই খবর পেয়ে বাবা-মা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
নিখোঁজ মিন্টু চন্দ্র বর্মণ লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া গ্রামের শর্ত বর্মণের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিলন ফকির ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিখোঁজ অধ্যক্ষের সর্বশেষ অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে ঢাকা বিমানবন্দরের হাজী ক্যাম্প এলাকায়। এ ঘটনায় তার প্রতিষ্ঠানের অংশীদার একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হলেও অপরজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তার ফোন নম্বরও বন্ধ রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
গত ২০ জুলাই আশুলিয়া থেকে নিখোঁজ হন রাজিয়া আক্তার নামে এক গৃহবধূ। সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজখবর নিয়েও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এদিকে সাভারের কুষ্টপুর এলাকা থেকে ২৫ জুলাই থেকে নিখোঁজ হয় স্বপ্না নামে ১০ বছরের এক শিশু। এসব ঘটনায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছে পরিবার। তবে তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত তথ্য জানায়নি পুলিশ।
১৫ দিনের মধ্যে তিনজনের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় আতঙ্কিত সাভারবাসী। দ্রুত নিখোঁজদের উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান তারা।
মাহিদুল মাহিদ/এসপি