কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এক রাতে এক মাঠে থেকে বিদ্যুৎচালিত ৭টি সেচ পাম্প চুরি হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) রাতে উপজেলার  আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের গড়ুরা গ্রামের ব্যাংগাড়ী মাঠ থেকে এসব সেচ পাম্প চুরি হয়।

বুধবার (২৮ জুলাই) সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন।

গরুড়া গ্রামের নবীর উদ্দিন মোল্লার ছেলে নাসির উদ্দিন, মৃত আফিল উদ্দিনের ছেলে একরামুল হক, মৃত মোবারক হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন, মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে সুলতান উদ্দিন, মৃত আত্তাব আলীর ছেলে আশরাফুল আলম বাসারুল, মৃত নিহাজ মণ্ডলের ছেলে নাজিম উদ্দিন ও মৃত চাহার উদ্দিনের ছেলে জামসেদ আলীর পাম্প চুরি হয়।

থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গরুড়া ও ধর্মদহ পূর্বপাড়া এলাকার কৃষকরা ব্যাংগাড়ী মাঠে চাষাবাদ করেন। মঙ্গলবার রাতে ওই মাঠ থেকে বিদ্যুৎচালিত ৭টি সেচ পাম্প চুরি হয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা এখনো জানা যায়নি। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত যেকোনো সময় চুরির ঘটনা ঘটে। ৭টি সেচ পাম্পের মূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা।

সেচ পাম্পের মালিক নাসির উদ্দিন বলেন, একই রাতে ব্যাংগাড়ী মাঠ মাঠ থেকে ৭টি সেচ পাম্প চুরি হয়ে গেছে। আমরা সেচ পাম্পের মালিকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। শুধু আমরা না। ভরা মৌসুমে মাঠে ধান, সবজি, মরিচ, তুলাসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল রয়েছে। যেসব ফসলে সেচ দেওয়ায়া না গেলে কৃষকরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে, ফসল ঘরে তুলতে পারবে না, সব নষ্ট হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কোনো একসময় ৭টি সেচ পাম্প চুরি হয়েছে। যার ফলে এলাকার কৃষকরা জমিতে পানিতে দিতে পারছেন না। বুধবার দৌলতপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। কে বা কারা চুরি করেছে আমরা জানি না।

সেচ পাম্পের অন্যান্য মালিকরা বলেন, রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মাঠের পাম্প দিয়ে সেচ কাজ চালানোর পর সকলেই বাড়ি আসি। সকালে মাঠে গিয়ে দেখি ৭ জনের সেচ পাম্প চুরি হয়ে গেছে। এছাড়াও একটি পানের বরজ থেকে নলকূপ ও একটি দোকান থেকে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার চুরি হয়েছে।

এদিকে, ভরা মৌসুমে এ ধরনের চুরির ঘটনায় এলাকার  চাষিদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই সেচ পাম্পগুলোর অধীনে এলাকার ৩৫০ বিঘার মতো জমির সেচ চলে। এই ভরা মৌসুমে সেচ পাম্প চুরি হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

৭টি সেচ পাম্প চুরি যাওয়ার ঘটনা স্বীকার করে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন জানান, সেচ পাম্প চুরির বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। সরেজমিনে পুলিশ পরিদর্শন করেছে। চুরি হওয়া পাম্পগুলো উদ্ধারের পাশাপাশি চোর আটকের চেষ্টা চলছে।

রাজু আহমেদ/এমএসআর