চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার যদুপুর গ্রামে রিপন নামে এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গ্রামে এমন খবরে পরিবারের লোকজন কবর খনন শেষ করেন। তবে কবর খনন শেষে জানতে পারেন, রিপন মারা যায়নি। ঢাকার একটি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরে সেই কবরে কলাগাছের দাফন করা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের যুদুপুর গ্রামের মৃত সায়েদ মিয়ার ছেলে রিপন। তিনি পেশায় একজন ট্রাকচালক। গত ২৪ জুলাই করোনা আক্রান্ত হয়ে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোজকজন উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে রিপনকে আইসিইউতে রাখা হয়। 

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা থেকে খবর দেওয়া হয় রিপন মারা গেছে। দাফনের জন্য কবর খননসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে বলেন। পরদিন সকালে মরদেহ গ্রামে পৌঁছাবে। এ খবরে পরিবারে কান্নার রোল পড়ে। সেই সঙ্গে সকালে দাফনের জন্য বাড়ির পাশে খনন করা হয় কবর। 

এদিকে শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে আবার জানানো হয় রিপন বেঁচে আছে। সে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি আছে।  মৃত এবং বেঁচে থাকার এমন খবর নিয়ে যদুপুর গ্রামে চাঞ্চলের সৃষ্টি করেছে। পরে খনন করা কবরে কলাগাছ দিয়ে আক্ষরিক দাফন সম্পন্ন করেন গ্রামবাসী।

বেগমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন বলেন, রিপন করোনা আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে আইসিইউতে আছেন। বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের লোকজন রিপনের মারা যাওয়ার খবর পেয়ে পরদিন সকালে কবর খননও করে। আবার সকালে জানতে পারে রিপন মারা যায়নি, বেঁচে আছে। সেই খনন করা কবরে কলাগাছ দিয়ে আক্ষরিক দাফন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, মরদেহের জন্য কবর খননের পর মরদেহ না দিলে সেখানে অন্যকিছু দিয়ে দাফন করা হয় বলে শুনেছি। তবে আমার দেখা এটাই প্রথম।

আফজালুল হক/এসপি