সান্তাহার পৌরসভা- ফাইল ছবি

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌরসভা নির্বাচনে বিভিন্ন অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা পৃথকভাবে শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছেন। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে নির্বাচনী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ, প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর ও প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় থানায় মামলা করেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম মন্টু। 

তিনি জানান, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন নানাভাবে অরাজকতা সৃষ্টি করে যাচ্ছিল। নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি-জামায়াতের লোকজন নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছিল। এর মধ্যে নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করা হয়। এসব কারণে তিনি বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহফুজুল হক টিকন, বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীর ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান রেন্টু, যুবদল নেতা  মামুনসহ ৪৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫০/৬০ জনের নামে মামলা করেছেন।

এদিকে একই দিন দুপুরে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু বাদী হয়ে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে ধানের শীষের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর, প্রাণনাশ ও অফিস বন্ধের হুমকির ঘটনায় মামলা করেছেন। 

তিনি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রচারণায় নানাভাবে বাধার সৃষ্টি করে যাচ্ছে। এখনও তিনি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। 

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ইভিএমে সান্তাহার পৌরসভায় ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোটে নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। নির্বাচনী কার্যক্রম শুরুর পর দুই দফায় উভয় প্রার্থী সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর পাল্টাপাল্টি চারটি অভিযোগও করেছেন।

রাতে পৃথক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আদমদীঘি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) জালাল উদ্দীন জানান, দুপুরে দুই মেয়র প্রার্থী বাদী হয়ে পৃথক মামলা করেছেন। মামলা দুটিতে নাম উল্লেখসহ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। 

আরএআর